
ছবি : মেসেঞ্জার
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় দেড়শতাধিক বছরের প্রাচীন কালিমন্দিরসহ জমি ও শ্মশানের রাস্তা দখলের প্রতিবাদে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিত পালিত হয়েছে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বড়গ্রামে দখলকৃত মন্দিরের সামনে সনাতন ধর্মাবলম্বিরা এ মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পরে সেখানে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্দনে বক্তারা বলেন, ঢাকা ডেমরা থানায় কর্মরত জনৈক জাহাঙ্গীর আলম ক্ষমতার দাপটে বড়গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেড়শতাধিক বছরের পূরাতন কালিমন্দিরটির চার পাশে ইটের দেয়াল উঠিয়ে বেদখল করে নিয়েছে। একই সাথে সেখানকার একটি শ্মশান ঘাটে যাওয়ার রাস্তাটিও দখল করে বন্ধ করে দিয়েছে। এতে ওই এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মন্দিরটিতে তাদের পূজা অর্চনা করতে পারছেন না।
এমনকি কেউ মারা গেলে শ্মশানে দাহ করতে মরদেহ নিতে গেলে অনেক পথ ঘুরে অন্য মানুষের ফসলি জমি দিয়ে নিয়ে যেতে হয়। এতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এসময় কর্মসূচিতে একাত্বতা প্রকাশ করে ২ নং বড়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহান আলী সরকার ও মন্দির কমিটির সভাপতি নিতাই বনিক, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির নির্বাহী সভাপতি এড. নির্মল চন্দ্র সিংহ, বিভাগীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার সাহা, জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মুক্তাগাছা উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. ভবতোষ চন্দ্র কর্মকার, কাজল রায়, প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা অনতিবিলম্বে মন্দিরের জায়গা ও শ্মশানে যাওয়ার রাস্তা উদ্ধার না হলে বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষণা দেন।
দখলের অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বাদলের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি ডেমরা থানায় কর্মরত আছি আমার সাথে দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিরোধ থাকায় আমাকে নানা ভাবে হয়রানি করছে। ঐ জমি আমি সাফ কাওলা মূলে ক্রয় করেছি তার পরেও যদি মন্দির কমিটি কাগজ মূলে পায় তাহলে আমি ছেড়ে দেব।
মেসেঞ্জার/কালাম/আপেল