ছবি : মেসেঞ্জার
চাঁদপুর মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ কম্বিং অপারেশনে নিষিদ্ধ জালে জাটকা ধরার দায়ে আটক ১৫ জেলেকে ভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহজাহান।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
কারাদন্ড প্রাপ্ত জেলেদের মধ্যে একমাস বিনাশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত জেলে হলেন-মতলব উত্তর উপজেলার মো. রুবেল সরদার (৩০)। ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন-মতলব উত্তর উপজেলার মো. হুমায়ুন মৃধা (৩৭), আক্তার হোসেন (২৫), ইয়াকুব ব্যাপারী (৪৫), ইয়াজল চোকদার (৪৩), সাইদুল রহমান (২৪), আরিফুল ইসলাম (২৮), লিটন বর্মন (৪৩), মো. হোসেন (২২), আবুল হোসেন (৪২), মনির হোসেন (৪৮), ছৈয়দ হোসেন (৩৫), মো. সাদেক (৩৫), মাদব চন্দ্র বর্মন (৩৮) ও মো. আলী নুর (২২)।
সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, বুধবার বিকাল ৩টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় ৩টি হাইস্পীডবোট নিয়ে মোহনা এলাকার মিনি কক্সবাজার, রাজরাজেশ্বর, মোহনপুর এলাকায় পদ্মা ও মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কাচিকাটা নামক স্থান থেকে জাটকা ধরা অবস্থায় ১৫ জেলেকে আটক করা হয়। একই সময় ১ লাখ মিটার কারেন্টজাল, ৫টি বেহুন্দি জাল, ৫ কেজি জাটকা জব্দ এবং একটি মাছ ধরার নৌকা আটক করা হয়।
অভিযান শেষে রাতেই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জেলেদের কারাদন্ড এবং জব্দকৃত জাল কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। জব্দকৃত জাটকা দুস্থদের মাঝে বিতরণ এবং নৌকা কোস্টগার্ড হেফাজতে রয়েছে।
অভিযানে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামিল হোসেন. মো. আশরাফুল ইসলাম, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের চীফ পেটি অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম, নৌ পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাইনুলসহ কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
মেসেঞ্জার/ফারিয়া