ঢাকা,  শনিবার
২৭ জুলাই ২০২৪

The Daily Messenger

বগুড়ায় যমুনা নদীতে নাব্যতা সংকট, নৌ-যান চলাচলে ব্যাঘাত

আলমগীর হোসেন, বগুড়া 

প্রকাশিত: ১২:৫৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ১৩:০১, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

বগুড়ায় যমুনা নদীতে নাব্যতা সংকট, নৌ-যান চলাচলে ব্যাঘাত

ছবি : মেসেঞ্জার

বগুড়ার যমুনার নৌপথে চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের। যমুনায় শুস্ক মৌসুমে নাব্যতা কমে যাওয়ায় এবং চর জেগে উঠায় নৌ চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রী এবং ইজারাদারদের। যমুনা নদী পথে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও জামালপুর জেলার সহস্রাধিক মানুষ  নিয়মিত যাতায়াত করে থাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দী উপজেলার কালিতলা, মথুরাপুর ও ধুনট উপজেলার শহড়াবাড়ী ও কৈয়াগাড়ী খেয়া নৌ ঘাট থেকে প্রতিদিন শতাধিক নৌকা চলাচল করছে।

এ সব নৌকা সারিয়াকান্দী কালিতলা, মথুরাপুর  ঘাট থেকে  বোহাইল, শোনপচা, ধারাবর্ষা, আওলাকান্দী,  কাজলা, হাটশেরপুর,  জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলায় প্রতিদিন চলাচল করছে।

এছাড়াও ধুনটের শহড়াবাড়ী ও কৈয়াগাড়ী খেয়া নৌ ঘাট থেকে সিরাজগঞ্জ জেলার নাটুয়ারপাড়া, মেখলা, জামালপুর জেলার তারাকান্দী, সরিষাবাড়ীতে প্রতিদিন নৌকা চলাচল করে আসছে। নৌ ঘাট এলাকা শুকিয়ে  যাওয়ায় অনেক বালুপথ হেটে  এবং এবং যমুনায় নাব্যতা কমে যাওয়ায় অনেক ঘুড়ে এবং বেশী ভাড়ায় চলাচল করতে হচ্ছে নৌকাগুলোকে।

এছাড়াও চরাঞ্চলে পৌছিলেও সেখান থেকে ঘোড়াগাড়ী কিংবা বালুর চর পেরিয়ে পৌঁছাতে হচ্ছে বাড়ীতে।  বর্ষায় দিনে দু,রার যাতায়াত করা গেলেও এখন প্রয়োজনীয় কাজে এসে চরের মানুষের কেনাকাটা করে ফিরতে কিংবা মাদারগঞ্জ,  তারাকান্দী, সরিষাবাড়ী ফিরতে বা আসতে দিন কেটে যায়।

জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জের শরিফুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমে দ্রুত নৌকায় যাতায়াত করা গেলেও যমুনার পানি কমার সাথে সাথে নদীর বুকে চর জেগে উঠে। সে কারনেই অনেক ঘুরে গন্তব্যে যেতে হয়। টাকা ও সময় দুটোরই অপচয় হয়। 

ধারাবর্ষা চরের আব্দুল লতিফ জানান, চরাঞ্চলের সব কিছু পাওয়া যায় না। তাই প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে সারিয়াকান্দী সদর কিংবা বগুড়া শহরে যেতে হয়। চর জেগে উঠায় যাতায়াতে বিড়ম্বনা ঘটছে।

ধুনটের শহড়াবাড়ী এলাকার নৌ চালক নুরুল জানান, জামালপুর জেলার তারাকান্দী থেকে সার নদী পথে বগুড়া সহ আশে পাশের জেলায় সহজেই নদী পথে কম খরচে আনা হয়। কিন্তু এখন অনেক ঘুড়ে যাওয়ায় সময় এবং ভাড়াও বেশী লাগছে।

সারিয়াকান্দী কালিতলা খেয়া ঘাটের ইজারাদার আবু সাঈদ জানান, বাধ্য হয়ে ভাড়া বেশী নিতে হয়। কারন,  ছোট বড় অনেক চর পড়েছে। অনেক পথ ঘুড়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। এক ঘন্টায় জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জে বর্ষা মৌসুমে যাওয়া গেলেও সেখানে এখন ৪৫ মিনিট সময় বেশি লাগছে। 

নদী ড্রেজিং না করলে নৌপথে যাতায়াত ভবিষ্যতে দুরুহ হয়ে পড়বে। চরবাসীর ভোগান্তি বাড়বে বলেন ইজারাদার আবু সাঈদ। ধুনটের শহড়াবাড়ী খেয়া ঘাটের ইজারাদার হযরত আলীও জানালেন একই কথা। তিনি বলেন, নদীতে চর পড়ায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

মেসেঞ্জার/প্রতিনিধি/শাহেদ