ঢাকা,  শনিবার
২৭ জুলাই ২০২৪

The Daily Messenger

কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড

মেসেঞ্জার অনলাইন

প্রকাশিত: ২১:৪৭, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ২১:৪৭, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনকে হত্যার দায়ে ১০ জনকে (পলাতক) মৃত্যুদণ্ড ও ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মোছা. মরিয়ম মুন মুঞ্জুরী এই রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত ১৮ জনের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৮ জন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ১০ জনই অনুপস্থিত ছিলেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মোবারক হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের দক্ষিণ বাতাবাড়িয়া গ্রামের তাজুল ইসলামের তিন ছেলে মো. রিয়াদ হোসেন (২৯), মীর হোসেন (৩৭), আনোয়ার হোসেন (৪১, সামছুল হক পাটোয়ারীর দুই ছেলে মো. ইউসুফ (৩৬), মো. ইসমাইল হোসেন (৩৫), ছালেহ আহম্মদের ছেলে মিসু (২২), শহীদ উল্লাহ মেম্বারের ছেলে মো. রাজন, তাজুল ইসলামের ছেলে মানিক মিয়া ও আবুল হোসেনের ছেলে মো. মিজানুর রহমান।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- একই এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে নোমান (২৩), সিরাজুল ইসলামের ছেলে সালাহ উদ্দিন (৪১), হাজী আ. সামাদের ছেলে আবুল কাশেম পিচ্চি কাশেম (৪২), মৌরভী আরী আকবরের ছেলে মো. শহীদউল্লা মেম্বার (৫৫), নূর আহম্মদের দুই ছেলে মো. সালেহ আহম্মদ (৩২) ও মো. সোহাগ (২৬), সফিকুর রহমানের ছেলে মো. স্বপন (৩৫), সুলতান আহম্মদের ছেলে মো. রাশেদ, মন্তাজুর রহমানের ছেলে মো. টিপু (৩৫)।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৩ মে সকাল ৯টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে মনোহরগঞ্জ দক্ষিণ বাতাবাড়িয়ার যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে হামলা চালায় আসামিরা। এ সময় তারা চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে জাহাঙ্গীরকে হত্যা করে।

এ ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীর আলমের ভাই মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামি করে মনোহরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনোহরগঞ্জ থানার এসআই মো. নাছির উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৮ জুন তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন।

২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর মামলাটি চার্জগঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ১২ জন সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।