ঢাকা,  শনিবার
২৭ জুলাই ২০২৪

The Daily Messenger

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড

নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতির আসল নাম বৃষ্টি, গ্রামের বাড়ি খোকসায় 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:২০, ১ মার্চ ২০২৪

আপডেট: ১৪:৪৫, ২ মার্চ ২০২৪

নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতির আসল নাম বৃষ্টি, গ্রামের বাড়ি খোকসায় 

ছবি : মেসেঞ্জার

রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর আসল নাম বৃষ্টি খাতুন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম প‌শ্চিমপাড়ার শাবলুল আলম সবুজ। সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয় পত্রে তার নাম বৃষ্টি। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নিহতের স্বজন ও বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ। 
 
তার বাবা শাবলুল আলম ইসলাম ধর্মের অনুসারী এবং তার মা স্ত্রী বিউটি বেগম ও ইসলাম ধর্মের অনুসারী। তবে অভিশ্রুতির বায়োডাটায় দেখা গেছে তিনি একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী। 

বৃষ্টির মা বিউটি বেগম ও তার খালা সাবানা খাতুন বলেন, বৃষ্টি কবে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছে জানিনা। সে ইসলাম ধর্মের অনুসারী পরিবারের সদস্য। সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয় পত্রে তার নাম বৃষ্টি খাতুন। আমরা তার লাশ পাচ্ছি না। তার লাশ আমরা গ্রামের বাড়িতে দাফন করবো। বৃষ্টি যতই ভুলই করুক না কেন, আমাদের সন্তান আমরা দাফন করবো।

৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ বলেন, অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর আসল নাম বৃষ্টি। সে  মুসলিম। বৃষ্টি ইডেন কলেজে পড়াশোনা করতো। সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয় পত্রে তার নাম বৃষ্টি। তার বাবা শাবলুল আলম সবুজ ঢাকায় বেসরকারি চাকরি করে। সে তার মেয়ের লাশ আনতে মর্গে গেছে।তারপর গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে। 

কুষ্টিয়ার খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননূর জায়েদ বলেন, জানতে পেরেছি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর বাড়ি বনগ্রাম প‌শ্চিমপাড়ায়। তার বাবার নাম শাবলুল আলম সবুজ।

জানা গেছে, বার্ন ইন্সটিটিউটের অভ্যর্থনা কক্ষের সামনে অভিশ্রুতিকে নিজের মেয়ে বলে দাবি করছেন সবুজ। তবে নিজের মেয়ের পেশা এবং ধর্মচর্চা নিয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি। মেয়ের সাথে কোনো ছবিও নেই তার কাছে। দুইদিন আগে অভিশ্রুতির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে দাবি করলেও তার কল লিস্ট চেক করেও মেলেনি সে প্রমাণ।

অন্যদিকে শাস্ত্রীর সিভিতে দেখা গেছে, সেখানে তিনি বাবার নাম লিখেছেন অভিরূপ শাস্ত্রী এবং মায়ের নাম লিখেছেন অপর্ণা শাস্ত্রী। সিভিতে তিনি নিজের বর্তমান ঠিকানা লিখেছেন সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, মৌচাক।

সবুজ বলেন, অভিশ্রুতি আমার মেয়ে। অভিশ্রুতি আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড়। আমার আরও দুটি মেয়ে রয়েছে। 
এদিকে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দ্য রিপোর্টের প্রতিবেদক গোলাম রব্বানী বলেছেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অভিশ্রুতির সহকর্মী ও বন্ধুরা তার মরদেহ শনাক্ত করেন। আমরা জানতে পেরেছি ওই ভবনের একটি রেস্টুরেন্টে তিনি তার এক বন্ধুর সঙ্গে এসেছিলেন। গতকাল রাত থেকে তার ফোন বন্ধ ছিল এবং আমরা তার কোনো খোঁজ পাচ্ছিলাম না।

রব্বানী বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের হাতে থাকা লাল সুতো (মৌলি সুতো) দেখে অভিশ্রুতিকে শনাক্ত করি। অভিশ্রুতির পরিবারের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করা যায়নি। কারণ আমাদের কাছে থাকা তার পরিবারের একমাত্র নম্বরটি বন্ধ রয়েছে।

গোলাম রব্বানী আরও বলেন, ইডেন মহিলা কলেজের রাজিয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন অভিশ্রুতি। আমরা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। অভিশ্রুতি বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায়। তিনি ইডেন মহিলা কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

মেসেঞ্জার/রাজু/আপেল