
ছবি : মেসেঞ্জার
শহর ঘেঁষা গ্রামের নাম কুমারগাড়া। পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নে এই গ্রামে ব্যতিক্রমী এক স্কুল গড়ে তোলা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘বড়াল বিদ্যা নিকেতন’। স্কুল ভবন থেকে শুরু করে সবকিছুই গতানুগতিক ধারার বাইরে চলে এই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আছে মিড ডে মিলের ব্যবস্থা। সপ্তাহে একদিন চলে সাংষ্কৃতিক চর্চা।
পড়াশোনার পাশাপাশি এই স্কুলে প্রতিদিন শেখানো হয় মানবিক মূল্যবোধ। ২০১৯ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হলেও নতুন আঙ্গিকে উদ্বোধন করা হয় শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে। আর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও ছিল ব্যতিক্রম।
যেমন, প্রতিটি অনুষ্ঠানে স্টেজের সামনে বসে থাকে অতিথি থেকে শুরু করে অভিভাবকরা। কিন্তু শনিবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল এর ব্যতিক্রম।
স্টেজের উল্টোদিক হয়ে (স্কুলের দিকে) হয়ে বসেন অতিথি থেকে শুরু করে অভিভাবকরা। স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রাত্যহিক বিষয়গুলো কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে বসে দেখেন সবাই। লাইন ধরে দলবদ্ধভাবে টিফিন নেওয়া, নিজেদের মধ্যে খাবার ভাগাভাগি করে খাওয়া, লাইন ধরে শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ, সমাবেশ থেকে শুরু করে সবকিছুই ছিল পরিপাটি।
বড়াল নদের অদূরে কাঠ ও লোহা ও মাটি দিয়ে তৈরি এই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় নতুন আঙ্গিকে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে বিদ্যালয়টির উদ্বোধন করেন ঢাকার আর্কিটেক্ট ফার্ম ‘ভিত্তি’ র ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্থপতি ইমতিয়াজ জহির।
প্রধান অতিথি ছিলেন স্থপতি ইকবাল হাবিব। চিত্রশিল্পী মিলন রবের সঞ্চালনা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলো কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, বিদ্যালয় পরিদর্শন ও অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময়।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, চাটমোহর পৌরসভার সাবেক মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলাল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মগরেব আলী, বড়াল বিদ্যা নিকেতনের পরিচালক এসএম মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, অভিভাবক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মেসেঞ্জার/পবিত্র/আপেল