ঢাকা,  মঙ্গলবার
২২ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

ধর্ষণের দায়ে শিশু আইনে আসামির ১০ বছর আটকাদেশ

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৫৯, ৪ মার্চ ২০২৪

ধর্ষণের দায়ে শিশু আইনে আসামির ১০ বছর আটকাদেশ

ছবি : মেসেঞ্জার

নাটোরে ধর্ষণের দায়ে শিশু আইনে এক আসামিকে ১০ বছর আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ( মার্চ) দুপুরে নাটোরের শিশু আদালতের বিচারক (জেলা দায়রা জজ) মুহাম্মদ আবদুর রহিম এই দণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডিত ব্যক্তি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাসিন্দা। ঘটনার সময় তিনি শিশু ছিলেন। তাই শিশু আদালতে মামলাটির বিচার হয়। শিশু আদালতে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের আটকাদেশ।

শিশু আদালত সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। আসামি পলাতক ছিলেন। রায়ে আদালত তাঁকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছরের আটকাদেশ দেন।

সেই সঙ্গে আসামিকে আটকের জন্য পরোয়ানা জারি করা হয়। দণ্ডিত ব্যক্তি আটক হওয়ামাত্র আটকাদেশ কার্যকর হবে বলে রায়ে বলা হয়। দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় আদালত অন্য দুই আসামিকে খালাস প্রদান করেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় বাগাতিপাড়া উপজেলার নবম শ্রেণির এক ছাত্রী ঘরের বাইরে বের হলে অভিযুক্তসহ তিনজন তাকে পাশের একটি বাগানে নিয়ে যান। সেখানে অন্যদের সহায়তায় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন দণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তি। ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে বাগাতিপাড়া থানায় মামলা করেন।

শিশু আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আনিছুর রহমান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বর্ণিত ঘটনাটি সংঘটনের সময় আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিল। তাই শিশু আইনে বিচার হয়। শিশু আইনে ধর্ষণের শাস্তি ১০ বছর আটকাদেশ। আদালত সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছেন।

মেসেঞ্জার/আরিফ/আপেল