ছবি : মেসেঞ্জার
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে নিহত মো: এমরাজ হোসেন সুমনের (২৮) মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ফেনীর দাগনভূইয়া পৌরসভার জগতপুর গ্রামে নিজ বাড়ীর দরজায় জানাজার নামাজ শেষে তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজার নামাজে দাগনভূইয়া পৌরসভার মেয়র ওমর ফারুক খান, কাউন্সিলর নুরুল হুদা সেলিম, আবদুল কুদ্দুস মিজানসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন অংশ নেয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় বিমান যোগে নিহতের মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে বাংলাদেশে আসে। বিমানবন্দরে নিহতের পিতা আবুল খায়ের ও তার স্বজনরা মরদেহ বুঝে নেন। মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্বজনরা। গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে এক শোকাবহ বেদনাদায়ক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
নিহতের জেঠাতো ভাই সাংবাদিক শেখ ফরিদ উদ্দিন আত্তার জানান, শুক্রবার (২৯ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সকাল ১১ টার দিকে সন্ত্রাসীরা তাকে ছুরিকাঘাতে করে।
পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ১০ বছর পূর্বে দক্ষিণ আফ্রিকায় যায় মোঃ এমরাজ হোসেন সুমন। গত শুক্রবার সকালে সুমনের দোকানে টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জের ধরে এক কালো সন্ত্রাসী দক্ষিণ আফ্রিকার বেষ্ট এরিয়ার ফালগুজ এলাকায় তার নিজ দোকানের সামনেই তাকে অতর্কিত ছুরিকাঘাত করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় সুমনকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। সুমন সেখানে ষ্টেশনারী ও মুদি দোকান করতো।
নিহতের আরাফ হোসেন নামে ৫ মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। শিশু আরাফ জন্মের পর তার পিতাকে জীবিত দেখার সৌভাগ্য হয়নি। আগামীকাল ঈদুল আজহার সময় দেশে আসার কথা ছিলো সুমনের।
নিহত মো: এমরাজ হোসেন সুমন ফেনী জেলার দাগনভূইয়া পৌরসভার জগতপুর গ্রামের আবুল খায়েরের চতুর্থ ছেলে।
মেসেঞ্জার/মানিক/আপেল
