ঢাকা,  শনিবার
২৭ জুলাই ২০২৪

The Daily Messenger

কলেজে যেতে নিষেধ করায় স্বামীর ওপর রাগ করে আত্মহত্যা

মেসেঞ্জার অনলাইন

প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

কলেজে যেতে নিষেধ করায় স্বামীর ওপর রাগ করে আত্মহত্যা

ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় কলেজে যেতে নিষেধ করায় ইতালি প্রবাসীর স্ত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে স্বামী-বাবার ওপর অভিমান করে নিজ ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন

শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে

আত্মহত্যাকারী মুক্তি খাতুন (১৮) উপজেলার পারদূর্গাপুর গ্রামের মইনুল হোসেনের মেয়ে আপন চাচাতা ভাই ইতালি প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী মুক্তি খাতুন আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী

জানা গেছে, মুক্তি খাতুনের সঙ্গে তার আপন চাচাতো ভাই ইতালী প্রবাসীর প্রায় বছর আগে মোবাইলে বিয়ে হয় বিয়ের মাস পর ইতালি প্রবাসি আনোয়ার হোসেন বাড়ি এসে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে স্ত্রীকে ঘরে তোলেন মাস দেশে থাকার পর আনোয়ার হোসেন আবারও ইতালি ফিরে যান মুক্তি খাতুনকে ইতালি নিয়ে যাবে যার কারণে কলেজে যেতে নিষেধ করে মুক্তির বাবা স্বামী নিষেধ করার কয়েক মিনিট পরই সে নিজ ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে

মুক্তি খাতুনের বাবা মইনুল হোসেন বলেন, ‘তার বড় ভাই মারা যাওয়ার পর তার ছেলে আনোয়ার হোসেনকে ছোট থেকে বড় করে ইতালি পাঠিয়েছি তার মেয়ে বড় হলে গত এক বছর আগে ভাইয়ের ছেলে ইতালি প্রবাসীর সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে দেই বিয়ের মাস পর বাড়ি এসে অনুষ্ঠান করে তার স্ত্রীকে ঘরে তোলে প্রায় মাস দেশে থাকার পর আবারও আনোয়ার ইতালি চলে গেছে তার মেয়ে মুক্তি খাতুনকে ইতালি নিয়ে যাবে সে জন্য গতরাতে তিনি মেয়েকে কলেজে যেতে নিষেধ করেন কারণে নিষেধ করার কয়েক মিনিট পরই ঘরে ঢুকে আত্মহত্যা করেছে ঘণ্টা পর মেয়েকে ডেকে না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখতে পাই ঘরের আঁড়ার সঙ্গে লাশ ঝুলছে

এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গণি মিয়া জানান, পারদুর্গাপুর গ্রামের মুক্তি খাতুনকে কলেজে যেতে নিষেধ করার সে আত্মহত্যা করেছে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় এবং বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের আবেদন করায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে

মেসেঞ্জার/হাওলাদার