ঢাকা,  বুধবার
১৬ জুলাই ২০২৫

The Daily Messenger

প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসতে বর্ণিল সাজে চট্টগ্রাম; নগর আওয়ামী লীগের এলাহী আয়োজন

ব্যুরো প্রধান,চট্টগ্রাম;

প্রকাশিত: ১৮:১০, ৩ ডিসেম্বর ২০২২

প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসতে বর্ণিল সাজে চট্টগ্রাম; নগর আওয়ামী লীগের এলাহী আয়োজন

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতির জনসভা ঘিরে এলাহি কর্মকাণ্ড,চট্টগ্রাম জেলা ও বিভাগের আওয়ামীলীগ সকল নেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দম ফেলার ফুরসত নেই মহানগর আওয়ামীলীগের। প্রতিদিন কোন না কোন ওয়ার্ড,ইউনিয়ন,থানা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের প্রস্তুতি সভায় অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণের পাশাপাশি যেতে হচ্ছে পলোগ্রাউন্ড ময়দানে। প্রতিদিন কেন্দ্রীয় নেতা এবং মন্ত্রীদের কেউ না কেউ জনসভাস্থল পরিদর্শন করতে যাচ্ছেন। আবার তাদেরকেও সময় দিতে হচ্ছে। এদিকে চলছে মঞ্চ নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি। সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে বিন্দুমাত্র ত্রুটি রাখতে চান না তারা।

অপরদিকে,চলছে প্রচার-প্রচারণায় চলছে  অঘোষিত প্রতিযোগিতা। আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কমিটিতে স্থান পাওয়ার জন্য নিজেকে দলের নীতি নির্ধারকদের সামনে তুলে ধরতে পদ প্রত্যাশীদের এই প্রতিযোগিতা। রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড ময়দানের আশপাশের প্রতিটি দেয়াল,গাছ,বিদ্যুতের খুঁটি থেকে শুরু করে ব্যানার পোস্টার লাগানো সম্ভব এমন  কোথাও আর খালি জায়গা নেই। ফ্লাইওভারের সড়কবাতির খুঁটিতে লাগানো হয়েছে তিন থেকে চার স্তরের ব্যানার-ফেস্টুন।

ফুটবল বিশ্বকাপের উন্মাদনার মাঝে চট্টগ্রামের এই জনসভা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন করে জাগরণ সৃষ্টি করেছে। সমাবেশস্থলের চারপাশ এবং শহরের প্রধান সড়ক বিশেষ করে লালখান বাজার, সিডিএ এভেনিউ ও ফ্লাইওভারে রঙিন ব্যানার পোস্টার লাগানো হয়েছে অনেকটা প্রতিযোগিতা করে। বিভিন্ন উপজেলা সদরেও এই প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা গেছে এই জনসভাকে ঘিরে।সব মিলিয়ে চট্টগ্রামে যেন এক এলাহী কর্মকাণ্ড। চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ কে  বলেন,আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,নেতাকর্মীরা যেন যে যার অবস্থান থেকে নিজ এলাকায় প্রচারণা চালায়। সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন ৪ ডিসেম্বর রবিবার মহাসমাবেশ ঐতিহাসিক রাখতে বাস্তবায়নের পালা।

উপজেলা,শহর ও জনসভাস্থল ঘুরে দেখা গেছে,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে সড়ক সংস্কারের পাশাপাশি বিলবোর্ড,ব্যানার,ফেস্টুন,দেওয়াল লেখন, আলোকসজ্জা ও তোরণ নির্মাণসহ সাজসজ্জার কাজ চলছে পুরোদমে। মূল সংগঠন কিংবা সহযোগী,পদ আছে কিংবা পদ নেই,সবাই পোস্টার-ব্যানারে বড় বড় ছবি দিয়ে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা কতটুকু সমাবেশ সফল করার আর কতুটুক আত্মপ্রচার তা নিয়েও কেউ কেউ মুচকি হাসেন।ব্যানার গুলোতে কোনটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনার পর শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল,কোনোটিতে সাবেক মেয়র ও দলের নগর সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন,কোথাও আবার স্থানীয় এমপি,সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর ছবি বড় করে শোভা পাচ্ছে।

আবার কিছু পোস্টার-ব্যানারে নেতার ছবির চেয়ে বড় হয়ে গেছে প্রচারকারীর নিজের ছবি। এসব ব্যানার পোস্টারের মাধ্যমে কে কোন নেতার অনুসারী তাও পরিষ্কার হয়ে গেছে।প্রাসঙ্গিক প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ অর্থ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বলেন,রাজনীতি করি দেশের জন্য দশের জন্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য আর এ সংগঠন বঙ্গবন্ধুর সংগঠন তাই ব্যক্তি পরিচয় প্রচার না করে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও আওয়ামী লীগের প্রচারণায় আত্মনিয়োগ থাকাটাই একজন নেতা ও কর্মীর দায়িত্ব এবং কর্তব্য।

এদিকে গত ৩০ মে নগর যুবলীগের সম্মেলন হলেও এখনো কমিটি হয়নি। চট্টগ্রাম উত্তর জেলায়ও একই চিত্র। পদপ্রত্যাশীরা ভাবছেন, জনসভা সফল করতে যারা বেশি ভূমিকা রাখবেন,তারাই এগিয়ে থাকবেন। গত ২৯ নভেম্বর জনসভার প্রস্তুতি উপলক্ষে মহানগর, উত্তর,দক্ষিণ যুবলীগের সভায় কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ পদ প্রত্যাশীদের প্রচারণায় ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন।মহানগর যুবলীগের পদ প্রত্যাশী আব্দুল মান্নান ফেরদৌস বলেন,প্রধানমন্ত্রী আমাদের অনেক দিয়েছেন। তাই দলমত নির্বিশেষে চট্টগ্রামবাসী সমাবেশে উপস্থিত হয়ে তাকে সেই সম্মান দেখানো আমাদের কর্তব্য।উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশী আবুল বশর বলেন, ১০ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে আসছেন।

যুবলীগের চেয়ারম্যান যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেভাবেই তারা কাজ করছেন উল্লেখ করে বলেন,সারা চট্টগ্রামে উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। একইভাবে ডিসেম্বরেই মহানগর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারিত আছে। দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যেও তাই নিজেকে প্রমাণ করার প্রতিযোগিতা চলছে।অপর দিকে,শুধু রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মাঝে প্রস্তুতি থেমে নেই। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শহরের বিভিন্ন সড়কের সংস্কার, আবর্জনা পরিষ্কার,সৌন্দর্যবর্ধন,আলোকায়ন ইত্যাদি কাজ গুরুত্ব সহকারে করছে।

ডেইলি মেসেঞ্জার/এএইচএস