স্কোয়াড্রন লিডার অসিম জাওয়াদ। ছবি : মেসেঞ্জার
ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল আকাশে উড়ার। সেই স্বপ্ন পূরণও হয়েছিল তার। বিমান বাহিনীর পাইলট হয়ে নিয়মিত উড়তেন আকাশে। কিন্তু এই উড়তে গিয়েই জীবন প্রদীপ নিভে যাবে সেটা কখনোই ভাবেননি কেউ। হায়রে জীবন। অকাল মৃত্যুর কাছেই হার মানলেন পাইলট অসিম।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার অসিম জাওয়াদ নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর মোহনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত স্কোয়াড্রন লিডার অসিম জাওয়াদ ২০০৭ সালে এস.এস.সি ও ২০০৯ সালে এইচ.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ- ৫ পেয়ে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হন সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে। ২০১০ সালে (বাফা – বাংলাদেশ এয়ারফোর্স একাডেমি)- তে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে কমিশন লাভ করেন একজন পাইলট অফিসার হিসেবে।
তিনি PT-6 , L-39ZA , F-7MB, F-BG1 ইত্যাদি বিমান চালিয়েছেন। তিনি ছিলেন F-7MG1 এর অপারেশনাল পাইলট ও এলিমেন্ট লিডার। ‘ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে’ জাতিসংঘের মিশনে নিয়োজিত ছিলেন। বিভিন্ন কোর্সের তাগিদে ভ্রমণ করেছেন চীন, ভারত, তুরস্ক ও পাকিস্তানে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিয়োজিত ছিলেন ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টর’স স্কুল অফ বি.এ.এফ-এ স্টাফ ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে।
অসিম জাওয়াদ নিজের ট্রেনিং জীবনে সকল বিষয়ের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পেয়েছেন গৌরবমণ্ডিত ‘সোর্ড অফ অনার’। এস.সি.পি.এস.সি-থেকে এখন পর্যন্ত তিনিই একমাত্র “সোর্ড অফ অনার” বিজয়ী। “ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টরস” কোর্সে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পেয়েছেন ‘মফিজ ট্রফি’। এছাড়া তার দায়িত্বশীলতা ও কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার জন্য প্রশংসা পেয়েছেন চিফ অফ এয়ার স্টাফ থেকে।
দুই বছরের এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জনক জাওয়াদের বিদায়ে বিমানবাহিনীর পাশাপাশি সেনা ও নৌ বাহিনীর সহকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
মেসেঞ্জার/দিশা