ঢাকা,  শনিবার
২৭ জুলাই ২০২৪

The Daily Messenger

শিমের নতুন দুটি জাত উদ্ভাবন

গাজীপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৮:৩৩, ১৫ মে ২০২৪

আপডেট: ১৬:৪৫, ১৭ মে ২০২৪

শিমের নতুন দুটি জাত উদ্ভাবন

ছবি : মেসেঞ্জার

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ তলোয়ার শিম-১ এবং তলোয়ার শিম-২ নামের দুটি নতুন শিমের জাত উদ্ভাবন করেছে।

ধারাবাহিক গবেষণার পর অভ্যন্তরীণ ও মাঠ পর্যায়ে সফলভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এ বিইউ তলোয়ার ১ এবং বিইউ তলোয়ার ২ নামে জাতটি উদ্ভাবন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।

জাতীয় বীজ বোর্ডে সম্প্রতি অনুমোদন পাওয়া এ নতুন জাতের এ সবজি শারীরবৃত্তীয় ও অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিইউ তলোয়ার-১ এবং বিইউ তলোয়ার-২ নামে দুটি শিমের হাত উদ্ভাবনে ভুমিকা রাখেন উদ্যানতত্ত বিভাগের গবেষক প্রফেসর ড. জাহিদুল হাসান। ২০১৯ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সহায়তায় তিনি এ গবেষণা কর্মসূচি হাতে নেন।

প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জার্মপ্লাজম সংগ্রহ করে ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে সোর্ড বিন -১ এবং সোর্ড বিন -২ নামে দুটি জেনোটাইপকে নির্ধারণ করা হয়। উচ্চ প্রোটিন সম্পন্ন এ বিইউ তলোয়ার শিম -১ এবং তলোয়ার শিম -২ জাত কৃষকের মাঠে সম্প্রসারণ করা হলে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিশ্ববাজারে বিক্রি করে চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন বলে মনে করেন এই গবেষক।

এ ব্যাপারে প্রফেসর ড. জাহিদুল হাসান বলেন, গ্রীষ্ম মৌসুমে মার্চ থেকে জুলাই মাসে অধিক ফলন দিতে সক্ষম হওয়া এ জাত দুটি স্থানীয় মানুষের কাছে সবজি এবং এর বড় মোটা বীজ ডাল হিসেবে অধিক পরিচিত।

বহুবর্ষজীবী লিগিউম জাতীয় উদ্ভিদ তলোয়ার শিম -১ আকারে বড়, লম্বা ও তলোয়ারের মতো দেখতে বলে এর নাম এমনটি হয়েছে। এর প্রতিটি শিমের ওজন ৫০-৬০ গ্রাম এবং গাঢ় গোলাপী রঙের যা থেকে প্রায় ৬ মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব।

ক্যানাভালিয়া গ্লাডিয়েটা বৈজ্ঞানিক নামের এ ফসলটি থেকে যথাযথ চাষের মাধ্যমে হেক্টর প্রতি ১৩-১৪ টন ফলন পাওয়া সম্ভব।

অন্যদিকে, বিইউ তলোয়ার শিম -২ বীজটি আকারে ছোট এবং হালকা গোলাপী রঙের যার প্রতিটি শিমের ওজন ৬৫-৭০ গ্রাম যা প্রায় ৭ মাস পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম । এ সোর্ড বিন- ২ থেকে হেক্টর প্রতি ২০-২২ টন ফলন পাওয়া যাবে। নিবন্ধিত জাত দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত বিভাগের বিজ্ঞানীদের মাধ্যমে গুণগতমাণ নিশ্চিত করে কৃষক পর্যায়ে পৌঁছানো হবে বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া বলেন, এ দুটি জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৮৩টি জাতের সফলতম উদ্ভাবন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্য রেখেছে যা দেশের কৃষি উন্নয়নে কাঙ্কিত ভুমিকা রাখছে। এ সময় যেকোন ধরণের নতুন উদ্ভাবনে বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদা সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে জানান তিনি।

মেসেঞ্জার/আবুল/আপেল