![রায়পুরায় চেয়ারম্যান পদে একমাত্র নারী প্রার্থী লাইলা কানিজ রায়পুরায় চেয়ারম্যান পদে একমাত্র নারী প্রার্থী লাইলা কানিজ](https://www.dailymessenger.net/media/imgAll/2024February/17-2405190759.jpg)
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র নারী প্রার্থী লাইলা কানিজ লাকী। তিনি টেলিফোন প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। প্রথম ধাপে ও দ্বিতীয় ধাপের নরসিংদীর ৪ টি উপজেলায় ২৪ জন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে রায়পুরা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন তৎকালীন রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাদেক। পরে উপজেলার চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করা হলে ওই পদে উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী লায়লা কানিজ লাকি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন। এর পর তিনি নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক পদ পান। তিনি রাজনীতিতে আসার আগে সরকারি তিতুমীর কলেজে শিক্ষকতা করতেন। শিক্ষকতা করা কালীন সময়েই লাইলা কানিজ মানবিক কাজ করে সুনাম ছড়িয়েছেন। ভূমিকা রেখেছেন মসজিদ-মাদ্রাসা, স্কুল- কলেজ নির্মাণে। সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের প্রয়োজনে, দূর্বিপাকে তিনি প্রসারিত করেছেন তার হাত। আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে একমাত্র নারী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ নির্বাচনে লাইলা কানিজ লাকীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন পাড়াতুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক ফেরদৌস কামাল জুয়েল।
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য আলী হোসেন দুলু, রায়পুরা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহেদুজ্জামান পনির ও সোলাইমান খন্দকার। এর মধ্যে জুয়েল আনারস, দুলু কাপপিরিচ, পনির মোটরসাইকেল, সোলাইমান দোয়াতকলম প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন।
মতিউর নগর গ্রামের ভোটার শামসুন্নাহার বলেন, পাঁচজন প্রার্থী থেকে তিনজন প্রার্থী বর্তমানে একই রাজনৈতিক দলের নেতা। যে কারণে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।
কাচারিকান্দি গ্রামের গৃহবধূ ঝুমা আক্তার বলেন, ‘লাকী আপা ভালো মানুষ, তার কাছে উপকার পায়, তাঁকে ভোট দেব।’ লাকী ভোটের রাজনীতিতে ছয় বারের সাংসদ রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর আশির্বাদপুষ্ট, ফলে তিনি ভোটের মাঠে এগিয়ে আছেন বলে মন্তব্য করেন চাঁনপুরের ভোটার শাহ আলম।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় এমপি ও সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু’র হাত ধরে লাইলা কানিজ রাজনীতিতে আসেন। সাংসদের ঘনিষ্ঠ আশির্বাদ, সামাজিক কাজে সম্পৃক্ততা, শিক্ষাবান্ধব পরিচিতি তাকে রাজনীতিতে দ্রুতই শক্ত জায়গা করে দেন। রাজু এমপি'র সমর্থনযোগ্য হওয়ায় সাংসদের অনুসারী সকল নেতাকর্মী, সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লাইলা কানিজের হয়ে কাজ করছেন। এমপি পুত্র রাজিব আহমেদ পার্থ ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন লাইলা কানিজের হয়ে। এমপিপুত্র পার্থ'র সক্রিয় ভূমিকা ভোটে পার্থক্য তৈরি করবে বলে জানান ভোটাররা।
লাইলা কানিজ লাকী বলেন, আমাকে মানুষ সব সময়ই কাছে পান। আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন,রাজনীতিতে এসেছি মানুষের সেবা করতে।ভোট হলে নিশ্চিত পাস করব। কোনো ষড়যন্ত্র আমাকে হারাতে পারবে না। শুধু সুষ্ঠ নির্বাচন চাই।’
রায়পুরা উপজেলায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৯৩২ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ২৩ হাজার ৯২৫ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯২৩ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৪ জন।
মেসেঞ্জার/কাউছার/আজিজ