
ছবি : মেসেঞ্জার
ডা. মাহমুদুল হাসান পান্নু। যশোর মেডিকেল কলেজের (যমেক) কলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক পদে কর্মরত। তরুণ মিষ্টিভাষী এই চিকিৎসককে অনেকে পছন্দ করেন। অনেকের প্রত্যাশা তার নেতৃত্বে চিকিৎসক সংগঠন আরও এগিয়ে যাবে। আগামী ১৩ জুলাই স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) যশোর জেলা শাখার সম্মেলনে সৎ ও যোগ্য মানুষ হিসেবে মাহমুদুল হাসান পান্নুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চান সিংহভাগ চিকিৎসক।
ডা. মাহমুদুল হাসান পান্নু ২০০০ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত শেবাচিমের এক্স ছাত্রলীগের সদস্য, ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) যশোর জেলা শাখার সাংস্কৃতিক ও আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিএমএ যশোরের প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৯ সাল থেকে তিনি নিষ্ঠার সাথে বিএমএ যশোরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া স্বাচিপ যশোরের বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য। স্বাচিপের আজীবন সদস্যের তালিকায়ও রয়েছেন তিনি।
ডা. মাহমুদুল হাসান পান্নু বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে এম বি বি এস পাশ করেন। এরপর সার্জারীতে এফসিপিএস ও কলোরেক্টাল সার্জারীতে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
তার গ্রামের বাড়ি যশোরের চৌগাছা উপজেলার কয়ার পাড়ায়। পিতা তোরাব আলী ৯০ দশকে চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
কয়েকজন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক জানান, ডা. মাহমুদুল হাসান আওয়ামী লীগ সমর্থিত পরিবারের সন্তান৷ নিজেকেও তিনি যোগ্য করে গড়ে তুলেছেন। নিজের মেধা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে তিনি যশোর স্বাচিপকে এগিয়ে নিতে পারবেন বলে আশাবাদী।
তারা আরও জানান, একজন নেতার যেমন গভীর জ্ঞান থাকতে হয়, তেমনি থাকতে হয় প্রবল দায়িত্ববোধ। ডা. পান্নুর মধ্যে দুটোই রয়েছে। তিনি মেধা খাটিয়ে চিকিৎসক সংগঠনের উন্নয়নে কিছু করে দেখাতে পারবেন। কেননা তরুণেরা সুযোগ পেলেই সংগঠনের জন্য অনেক কিছু করতে চায়। তাই ১৩ জুলাইয়ের সম্মেলনে তারা ডা. পান্নুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চান। ইতিমধ্যে অনেক চিকিৎসক তার পক্ষে সরাসরি মাঠে নেমেছেন৷ ফলে তার পাল্লাও অনেকটা ভারি হয়ে উঠেছে।
ডা. মাহমুদুল হাসান পান্নু জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের অধিকার ও জনগণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষে যশোর স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন। তিনি নির্বাচিত হলে সুখে-দুখে চিকিৎসক সমাজের পাশে থাকবেন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবেন। সংগঠনের উন্নয়নে নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। এছাড়া চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও দাবি আদায়ে জোরালো ভূমিকা রাখা হবে।
মেসেঞ্জার/বিল্লাল/আজিজ