ছবি : মেসেঞ্জার
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে একটি মাদ্রাসার ইট দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান সুপারের বহুতল ভবন নির্মাণ সহ একাধিক অভিযোগ তুলে ইউএনও অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় এক বাসিন্দা।
লিখিত অভিযোগটি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মিনহাজুল ইসলাম।
অভিযুক্ত ওই সুপারের নাম মাহফুজার রহমান। তিনি রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুটিরগ্রাম মকবুল হোসেন (এম.এইচ) বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার।
ওই সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন মামুন মিয়া। তিনি ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা।
লিখিত অভিযোগ বলা হয়েছে, মাদ্রাসার তিন টি বিল্ডিং ভেঙ্গে ফেলে সেখানে বহুতল মাদ্রাসা ভবন নির্মিত হচ্ছে। ভেঙে ফেলা ওই বিল্ডিং এর প্রায় ৩০ হাজার ইট আত্মসাৎ করে নিজের বাড়িতে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। এছাড়াও ২০ (বিশ) বান্ডিল টিন বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করে প্রায় এক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ওই মাদ্রাসার ইবতেদায়ী ১ম শ্রেণী হতে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত কোন ছাত্রী না থাকা স্বত্বেও গত ২০ বছর যাবত সরকারী বই উত্তোলন করে অবৈধভাবে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন ওই সুপার।
এছাড়াও ওই মাদ্রাসার ৬ পদে নিয়োগ কে কেন্দ্র করে প্রায় ৫০ লাখ টাকা নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় ওই বাসিন্দা।
এদিকে অভিযোগ ওঠার পর ওই মাদ্রাসায় গিয়ে জানা যায়, একটি নির্মাণাধীন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর পর্যন্ত কাজ করে বন্ধ রেখেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে সেখানে পূর্বের ভবনের পুরাতন ইট সহ অন্যন্য মালামাল চোখে পরেনি।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জয়নাল হক বলেন, সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো সবই সত্য। মাদ্রাসার ইট নিলাম ছাড়াই বাড়িতে নিয়ে গেছে এবং সেই ইট দিয়ে দুই তলা বাড়ি করছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার মো. মাহাফুজার রহমান বলেন, ইট গুলো আমি কমিটির কাছ থেকে ক্রয় করে নিজের বাসা বাড়িতে লাগিয়েছি তাতে কি হয়েছে।আর ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কোন মাদ্রাসায় ছাত্র ছাত্রী আছে। এদিকে নিয়োগ বানিজ্যে অভিযোগ এড়িয়ে যাই ওই সুপার।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ তাহের আলী জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। মাদ্রাসা তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আমার এ সম্পর্কে কিছু বলার নাই।
ইউএনও মো. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেসেঞ্জার/রাফি/আজিজ