ঢাকা,  শনিবার
২৮ জুন ২০২৫

The Daily Messenger

রাজশাহীতে প্রশাসন ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

প্রকাশিত: ১৯:৫৬, ১০ আগস্ট ২০২৪

রাজশাহীতে প্রশাসন ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা

ছবি : মেসেঞ্জার

রাজশাহীতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।

বক্তব্য দেন সেনাবাহিনীর লেঃ কর্নেল শামীম রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) নগর বিশেষ শাখার উপ-কমিশনার আব্দুর রাকিব, রাজশাহীর পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী মিশু, মাসুদ রানা, মেহেদী হাসান মুন্না, নওশাজ জামান, তানভীর আহমেদ রিদম, মেহেদী সজীব, আকিল বিন তালেব, ফুয়াদ উল ইসলাম ভুইয়া রাতুল, এফ.আর.এম ফাহিম রেজা, তাসিন খান, মেহেদী হাসান মারুফ, ফৌজিয়া নৌরিন, সালাহউদ্দিন আম্মার, মৃত্তিকা, মাহাদী হাসান মাহির, নুরুল ইসলাম শাহিদ আতাউল্লাহ বক্তব্য দেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘প্রশাসন পুলিশ শিক্ষার্থীদের নির্বিচারে হত্যা করেছে। তারা তাজা প্রাণ ঝড়িয়েছে। অফিসিয়ালভাবে তাদের সবার হাত রক্তে রঞ্জিত। প্রায় এক মাস আমরা নির্ঘূম রাত কাটিয়েছি। এখনো কাটাচ্ছি। আমরা রাত জেগে বিভিন্ন এলাকা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জনগণের বাড়ি পাহারা দিচ্ছি।

রাস্তায় বিশৃংখলা এড়াতে ট্রাফিকিং কাজ করছি। এছাড়া হামলা, ভাংচুর অগ্নিসংযোগকৃত বিভিন্ন অফিস পরিস্কার করছি। বর্তমানে আইন শৃংখলার অবস্থা নাজুক। এজন্য দেশে পুলিশ বাহিনীকে নামাতে হবে।

তারা আরও বলেন, ‘পুলিশের সদস্যরা নিজেরাই তাদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করেছে। তারা খুুনি হিসেবে চিন্থিত হয়েছে। পুলিশের খারাপ আচরণ, অন্যায়, অত্যাচার নির্যাতনের কারণেই বিক্ষুদ্ধ জনগণ বিভিন্ন থানা, ফাঁড়ি পুলিশ সদর দপ্তরে ভাংচুর এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। সেইসাথে মালামাল লুট করেছে।

কিন্তু এটা ঠিক হয়নি। আইন শৃংখলা রক্ষার্থে যারা নির্দোষ পুলিশ তাদের মাঠে নামানোর কথা বলেন সমন্বয়কেরা।

তারা বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে যারা দোষি তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।

সমন্বয়করা জেলা প্রশাসক সহ উপস্থিত প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্যেশ্যে বলেন, ‘যে সরকারই আসুক, কেউ যেন তাদের গোলামী না করেন। সব কিছু তার নিজস্ব গতিতে চলবে। প্রশাসন আইন শৃংখলা বাহিনীকে জনগণের পাশে এসে দাঁড়ানোর কথাও বলেন তারা।

বৈষম্য বিরোধীদের স্মরণ করা যেন আদর্শিক হয় উল্লেখ করে তারা বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরসহ ৫৩ বছরের জঞ্জাল পরিস্কার করা হবে। এগুলো পরিস্কার করা পর্যন্ত কাজ করে যাবেন বলে উল্লেখ করেন।তারা আরও বলেন, দীর্ঘ পনের বছর তারা ভোট দিতে পারেননি। তারা স্বাধীন নির্বাচন কমশিন গঠন করে ভোট প্রদানসহ একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা পর্যন্ত সততা নিষ্ঠার সাথে জনগণের সেবা করে যাবেন।

সেইসাথে বিচার বিভাগ নির্বাচন কমিশনসহ সকল প্রতিষ্ঠান তারা দুর্নীতি মুক্ত করবেন। পুলিশ আওয়ামী লীগের ক্যাডারে পরিণত হয়েছিল। সরকার যা বলতো তাই করতো। অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনতে পুলিশ বিভাগ প্রশাসনে ব্যাপক সংস্কার করতে হবে।

তারা বলেন, দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হায়েনা মুক্ত হলেও এখনো স্বাধীনতার উৎসব তারা করেননি। কারণ দুস্কৃতিকারীরা এখনো সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা করছে। যেদিন সবকিছু ঠিক পর্যায়ে আসবে সেদিনই তারা আনন্দ মিছিল করবেন। দেশের উন্নয়নে সবাইকে সততা নিষ্ঠার সাথে কাজ করারো আহ্বান জানান তারা।

সভাপতি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ দেশ সংস্কারে কিভাবে ছাত্রদের পাশে থাকবেন সেসব বিষয় তুলে ধরেন। সেইসাথে দোষি ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস প্রদান করেন।

মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/আপেল