
ছবি : মেসেঞ্জার
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই ইউপি নির্বাচনের জেরের অংশ হিসেবে স্থানীয় কতিপয় কুচক্রী মহলের দ্বারা তালতলী উপজেলার নিজপাড়া এলাকায় ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট এবং ভাঙচুরের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীরা।
শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেল ৫ টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন পশ্চিম ঝাড়াখালী গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের পুত্র ভুক্তভোগী মো: জলিল রাড়ি।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী জলিল রাড়ি জানান, তালতলী উপজেলার সোনাপাড়া (নিউপাড়া) বাজারে ইট, বালু এবং রড সিমেন্ট এর ব্যবসা করে আসছি। এর আগে আমি উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য ছিলাম। যে কারণে আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী শত্রুপক্ষ রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর ওইদিন সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা আমার কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
উক্ত পরিমাণ টাকা দিতে আমি অপারগতা জানালে, পরেরদিন ৬ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে অভিযুক্তরা এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আমার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় এবং এক পর্যায়ে দোকানের সকল মালামালসহ নগদ এক লাখ ছিচল্লিশ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় আমার ২৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি মালামাল পরিবহনের গাড়ি পুড়িয়ে দেয়।
ঘটনার সময় আমার আপন বড় ভাই মো: ইউনুস রাড়ির আইসক্রিম ফ্যাক্টরীতে হামলা, ভাঙচুর এবং লুটপাট চালায়। এতে আমাদের প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সব হারিয়ে আমি এবং আমার ভাই এখন নিঃশ্ব হয়ে গেছি।
বর্তমানে সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাড়িতে ঘুমাতে পারছি না। এসব সন্ত্রাসীরা শুধু আমার উপরেই হামলা চালিয়ে ক্ষান্ত থাকেনি, তারা এলাকায় প্রতিনিয়তই সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায় এবং নিরহ মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে। দেশে যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, তখন ওই দলের হয়ে এসব সন্ত্রাসীরা এলাকায় লুটপাট এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়।
সন্ত্রাসীরা সিমেন্ট ৪৫০ বস্তা, রট সাড়ে পাঁচ মেঃ টন, লোহার রিং ৮৫০ কেজি, মর্টার ২টা, সিমেন্টে ব্যবহৃত কেমিক্যাল সাড়ে ৩শ' লিটার, এক লাখ ছিচল্লিশ হাজার নগদ টাকা, একটি মাহিন্দ্রা গাড়ি পুড়িয়ে ফেলে। আইসক্রিম মিলের ৯টি ডিপফ্রিজ, আইসক্রিম বানানোর মেশিন, ২টি ইজিবাইক লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এ সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে পশ্চিম ঝাড়াখালী গ্রামের মৃত এরফান হাওলাদারের পুত্র মোঃ বারেক হাওলাদার, আবুল হাশেমের পুত্র সলেমান হাওলাদার, মো: জয়নালের পুত্র এনায়েত হাওলাদার, সলেমান হাওলাদারের পুত্র নাহিদ হাওলাদার, মৃত এরফান হাওলাদারের পুত্র মোঃ তৈয়ব হাওলাদার, তালেব সহ আরোও অজ্ঞাত ৬০ থেকে ৭০ জন।
ভুক্তভোগিরা এই লুটপাটের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ক্ষয়ক্ষতি পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
মেসেঞ্জার/হিমাদ্রি/আপেল