ঢাকা,  সোমবার
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

রাজশাহীতে

অধ্যক্ষকে মারধরের পর পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: ১১:০৫, ১৪ আগস্ট ২০২৪

অধ্যক্ষকে মারধরের পর পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ

রাজশাহী সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আমিনা আবেদীনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে তাঁর কক্ষে অবরুদ্ধ করেও রাখা হয়। ছবি : মেসেঞ্জার

রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আমিনা আবেদীনকে মারধর করে পদত্যাগ পত্রে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, অধ্যক্ষ আমিনা আবেদীনের স্বামী ও ছেলেকেও মারধর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে কলেজে এই ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা এবং ওই কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হক লিমনের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আমেনা আবেদীন বলেন, তিনি কোনো ক্ষমতাসীনদের পা চেটে অধ্যক্ষ হননি। নিজের যোগ্যতায় এই পদে এসেছেন। সকালে শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণা করেন। এরপর আরও শিক্ষার্থী এসে তাঁকে অবরুদ্ধ করে পদত্যাগ করতে বলেন। তাঁরা ছাত্রদলের এমদাদুল হক লিমনের নেতৃত্বে আসে। তিনি অসুস্থ বোধ করায় চলে যেতে চান। এ সময় অটোরিকশার মধ্যে তাঁর ছেলেকে মারধর করা হয়। তাঁকেও (আমিনা আবেদীন) আঘাত করা হয়। এ খবর পেয়ে তাঁর স্বামী কলেজে এলে তাঁকেও মারধর করা হয়। পরে ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিলে তিনি তাঁদের দেওয়া পদত্যাগের আবেদনে স্বাক্ষর করে কোনোরকমে বাসায় ফিরেন। এখনো তিনি আতঙ্কের মধ্যে আছেন।

আমিনা আবেদীন আরও বলেন, বিএনপি নেতা নজরুল হুদা এসে তাঁকে গালিগালাজ এবং পদত্যাগে বাধ্য করান। তিনি তখন বলেন, ‘আগের সরকার যা করেছে, আপনারা সে পথেই যাচ্ছেন।’ তখন ওই নেতা গালি দিয়ে জুতাপেটা করার হুমকি দিতে থাকেন। সবাইকে জুতাপেটা করার নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা দাবি করেন, সিটি কলেজের পাশেই তার বাসা। সেখানে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়, সে জন্য অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে তিনিই মুক্ত করেন। তিনি গালিগালাজ করেননি। শিক্ষার্থীরা আগে কাউকে মেরেছে কি না? তিনি তা জানেন না। 

এছাড়া ছাত্রদলের কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হক লিমন দাবি করেন, এটা সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছিল। এখানে ছাত্রদলের কোনো ভূমিকা নেই। কাউকে মারধর করেননি তাঁরা। 

মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/আজিজ

×
Nagad