ঢাকা,  মঙ্গলবার
১০ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

নীলফামারীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময় সভা

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৮:৪৩, ২৫ আগস্ট ২০২৪

নীলফামারীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময় সভা

ছবিঃ মেসেঞ্জার

নীলফামারীর জলঢাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকল পেশার মানুষের সঙ্গে শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে জলঢাকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মতবিনিময় সভা হয়েছে। উক্ত সভাটি জামায়াতে ইসলানী জলঢাকা উপজেলা ও সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জলঢাকা উপজেলা সভাপতি অধ্যপক লিটক কর্মকার এর সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নীলফামারী জেলা আমীর মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ।

এ সময় জলঢাকা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মোয়াম্মর আল হাসান ও সহকারী সেক্রেটারি এ.এম মুজাহিদ মাসুম এর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর রংপুর মহানগরশাখার সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ সালাফি, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নীলফামারী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম, প্রচার (মিডিয়া) বিভাগের সেক্রেটারি প্রভাষক ছাদের হোসেন প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, রংপুর বিভাগীয় পূজা উদযাপন কমিটির সেক্রেটারি পিযুষ সরকার, জলঢাকা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক জ্যোতিষ চন্দ্র সরকার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জলঢাকা উপজেলার অর্থ সম্পাদক গণেষ রায়, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জলঢাকা পৌর সভাপতি জ্যোতিষ চন্দ্র রায়, প্রভাষক অবিনাশ চন্দ্র রায় সহ আরো অনেকে। 

হিন্দু সম্প্রদায়ের বক্তরা বলেন, জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন যাবত আমাদের ভুল ধারনা দিয়ে আসছে। জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান আমাদের জাতীয় মন্দির ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যেদিন যান সেদিন আমরা আশ্চর্য হয়েছি। ১৬-১৭ বছর ধরে একটি নির্যাতিত দল সময়ের পরিবর্তনে এভাবে আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবে তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে ভুল ধারনাগুলো আজ থেকে দূর হয়ে গেলো।

এ সময় তারা আরো বলেন, আমরা কোনো ক্ষমতার আশা করিনা আমরা সবাই মিলেমিশে থাকতে চাই। দেশের ক্রান্তিকাল সময়ে যখন প্রশাসন বের হতে পারিনি তখন জামায়াত-শিবিরের লোকজন আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আমরা আর আতঙ্কে থাকতে চাইনা, সাহস নিয়ে থাকতে চাই। সাহসের উপর আর কিছু নেই। পরিশেষে তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল বিপদে আপদে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃন্দের নিকট সহযোগীতা চান।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর রংপুর বিভাগীয় সেক্রেটারি বলেন, কেউ দুষ্কৃতকারীদের দারা জুলুম, অত্যাচার, লাঞ্ছিত বা চাকরীচ্যুত হন তাহলে জামায়াতে ইসলামী তাদের পাশে থাকবে। এ সময় তিনি জাতী-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে একই পতাকা তলে থাকার আহবান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নীলফামারী জেলা আমীর মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের হিন্দু মুসলিমের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নাই। সৈরাচারী হাসিনার পতনের পর থেকে বিভিন্ন স্থানে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, সে সময় পুলিশ প্রশাসন জনগনের পাশে না থাকায় সেই পরিস্থিতিতে হিন্দুদের পাশে দাড়িয়েছিলো জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা।

জেলা আমীর আরো বলেন, নৈতিকতার শিক্ষা ধর্ম থেকেই পাওয়া যায় সুতরাং ধার্মিক ব্যক্তির মাধ্যমে কোনো অপকর্ম হতে পারেনা। এক শ্রেনী হিন্দুদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে যে দেয়াল তৈরী করেছে আজ থেকে আমরা সেই দেয়াল ভেঙে দিলাম। দেশের বিভিন্ন স্থানে যারা বিচ্ছিন্ন এই ঘটনার সাথে জড়িত আপনারা তাদের তালিকা আমাদের হাতে দিন। তারা যদি আমাদের দলের লোকজনও হয়ে থাকে আমরা কাউকে ছাড় দেবনা। 

মেসেঞ্জার/রিপন/সৌরভ