ঢাকা,  রোববার
২৯ জুন ২০২৫

The Daily Messenger

তিন মাস বন্ধে পর্যটকশূন্য সুন্দরবন

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তিন মাস বন্ধে পর্যটকশূন্য সুন্দরবন

ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটক ও জেলে-বাওয়ালীদের জন্য গত ১ সেপ্টেম্বর উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে সুন্দরবন। তবে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এবং রবিবার এই দুদিনে সুন্দরবন ভ্রমণে তেমন পর্যটক আসেনি এই বনে। কারণ হিসেবে বনবিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পর্যটক মৌসুম নয়, তাই পর্যটক আসছেনা।

পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, তিন মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলেও তেমন পর্যটক না আসার কারণ হচ্ছে এখন পর্যটক মৌসুম না। 

এরপর এখন নদী উত্তাল এবং বর্ষা মৌসুম। আগামী নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এই পাঁচ মাস হচ্ছে পর্যটক মৌসুম। এই মৌসুমে পর্যটকদের চাপ সামলাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়। 

তিনি বলেন, সুন্দরবন উন্মুক্ত করা হলেও  এই দুই দিনে ২০০ পর্যটক এসেছে। এসময়ে জনপ্রতি ৪৬ টাকা হারে ৯২০০ টাকা রাজস্ব আদা হয়েছে উল্লেখ করে এই বন কর্মকর্তা বলেন, এসময়ে যে পর্যটক এসেছে তারা সুন্দরভাবে সুন্দরবন উপভোগ করেছেন, তারা অনেক খুশি।

রাজশাহী বিভাগ আসা ইমান আলী নামে এক পর্যটক বলেন, 'তিন মাস বন্ধ থাকার পর সুন্দরবনে ঘুরতে আসলাম। অনেক পশু-পাখি এবং নানারকম গাছপালা দেখলাম। অনেক আনন্দময় সময় উপভোগ করেছি'। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা থেকে আসা মোঃ আশরাফুল নামে আরেক পর্যটক বলেন, 'অনেকদিন পর পরিবার নিয়ে সুন্দরবন দেখতে আসলাম। সুন্দরবন যে এত সুন্দর চোখ দিয়ে বাস্তবে না দেখলে জানতাম না। অনেক ইনজয় করেছি'। 

উল্লেখ্য ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট এই তিন মাস মূলত বনের গাছপালা, বন্যপ্রাণী/পশুপাখি ও মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় এই সময়টাতে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বনবিভাগ। প্রজনন মৌসুম নির্বিঘ্ন হওয়ায় এক নতুন রূপে এখন সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি।

বনবিভাগ জানায়, সুন্দরবনের ৩১৯ প্রজাতির মাছ, ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা ও ১০৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী/পশুপাখির বেশির ভাগেরই প্রজননকাল ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট। এই সময়ে বনের গাছপালার বীজ থেকে চারা গজায়, এতে গাছের সংখ্যা বেড়ে থাকে। আর প্রজননের ফলে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায় প্রাণীজ ও জলজ সম্পদ।

মেসেঞ্জার/আবুল/সৌরভ