ছবিঃ মেসেঞ্জার
দেশের প্রতিটি নদী দূষণমুক্ত। তা থেকে উত্তরণে প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ৬৪ টি জেলা ও আটটি বিভাগের একটি করে নদী সহ মোট ৭২টি নদীর অবৈধ দখল ও দূষণমুক্ত করতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যয় সাশ্রয়ী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় নির্দেশণা দিয়েছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
৪ সেপ্টেম্বর ৮টি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারদের সাথে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে উপদেষ্টা এই নির্দেশনা প্রদান করেন। আগামী দুই মাসের মধ্যে ব্যয় সাশ্রয়ী কর্ম পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে দাখিল করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর), দুপুরে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিভাগীয় নদীরক্ষা কমিটির প্রথম বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব তথ্য জানান।
বিভাগীয় কমিশনার আরো জানান, ময়মনসিংহ বিভাগের চারটি জেলায় পাঁচটি নদী দূষণ ও দখলমুক্ত করনে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ দপ্তরের পরিচালক কে নির্দেশনা দেন। আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা জমা দেওয়ারও নির্দেশনা দেয়া হয়।
এছাড়াও নদ/নদীর তালিকা প্রণয়ণ ও অবৈধ দখল মুক্তকরণে নদীর সীমানা চিহ্নিত ও উচ্ছেদ করার উপর জোর দেন বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় নদী রক্ষা কমিটির সদস্যদের মধ্যে সভায় অংশ নেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিনা আক্তার, অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দ আবু সায়েম, নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ, শেরপুরের জেলা প্রশাসক মনিরুল হাসান, জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ শফিউর রহমান, ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব শিহাব উদ্দিন আহমদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ নাজমুল হুদা, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ.ন.ম. আব্দুল ওয়াদুদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখলাক উল জামিল, ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম ও ময়মনসিং প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক অমিত রায় প্রমুখ।
মেসেঞ্জার/নজরুল/সৌরভ