
ছবি: মেসেঞ্জার
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত ফল ব্যবসায়ী মেরাজুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি নবী উল্লাহ পান্নাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, বুধবার (২ অক্টোবর) ভোর রাতে নগরীর খামারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রংপুর জেলা রেড ক্রিসেন্টেরও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ওসি জানান, গত ১৯ জুলাই আন্দোলন চলাকালে নগরীর সিটি বাজারে এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে নিহত হন ফল ব্যবসায়ী মিরাজুল। এ ঘটনায় তার মা আম্বিয়া খাতুন বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরো একাধিক মামলা রয়েছে।
এই মামলার আইনজীবি শেখ মেজবাহুল মান্নান জানান, ১৯ জুলাই বিকেলে পুলিশ এবং আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নির্বিচার গুলিতে শহীদ হন ফল ব্যবসায়ি মেরাজুল। ওই ঘটনায় মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার পাল, এসি ইমরান হোসেন, এসি আরিফুজ্জামান, ধাপ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মামুন, কোতয়ালী থানার এসআই গনেশ চন্দ্র, মজনু মিয়া, সাবেক মহিলা এমপি নাছিমা জামান ববি, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, শাহজাদা আরমান, শাহাদত হোসেন, হারুণ অর রশিদ, জাহাঙ্গীর আলম তোতা, মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদব তুষারকান্তি মন্ডল,জে লা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি রমজান আলী তুহিন, জেলা যুবলীগের সভাপতি বাবু লক্ষিণ চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সিদ্দিক রনি, জেলা যুবলীগ নেতা ডিজেল আহমেদ, মহানগর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, যুবলীগ নেতা নেংরা মামুন, আওয়ামীলীগ নেতা নবিউল্লাহ পান্নাকে।
তিনি জানান, অন্য আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দ্রুত বিচার আইনে এই মামলাটির নিষ্পত্তি চাই আমরা।
ওই মামলার গ্রেপ্তার রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল।
মেসেঞ্জার/মান্নান/আজিজ