
ছবি : মেসেঞ্জার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকার উত্তরা পূর্ ব থানায় গুলিতে নিহত চা দোকানী লাবলু মিয়া হত্যা মামলায় রংপুরের গঙ্গাচড়া ইউনিয়নর পরিষদ নেতা ও আওয়ামীলীগ সভাপতি মোহাইমিনুল ইসলাম মারুফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রংপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বেতগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে উত্তরাপূর্ব থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চলাকালে সংঘটিত একটি হত্যা মামলা আছে। আইন অনুযায়ী তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার ভোররাতে রংপুর মহানগরীর মুলাটোল এলাকা থেকে কোতয়ালী থানা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক সোহেল রানা ইমনকে গ্রেপ্তার করা করেছে মহানগর পুলিশ। পরে দুপুরে তাকে রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। এসময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ নুরুন নবী আসামির ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মোঃ সোয়েবুর রহমান তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি কমিশনার পুলিশ রায় জানান, (২৫ আগস্ট) রংপুর কোতয়ালী থানায় হত্যা চেষ্টা ও আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে জখম, অঙ্গহানি এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ এনে মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে পা হারানো আহত মমদেল হোসেনের মামা আবুল কাশেম। ওই মামলায় শুনানী শেষে তাকে রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
মামলার আইনজীবি রায়হানুজ্জামান জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রংপুর সিটি বাজার এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশ ও আওয়ামী লীগসহ তাদের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা ও গুলি চানায় চালায়। এদিন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন মমদেল হোসেনসহ আরো অনেকে।
পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত মমদেল হোসেনের বাম পাশের হাঁটুর নিচের অংশ এবং বাম হাতের তিনটি আঙ্গুল কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনায় (২৫ আগস্ট) মমদেলের মামা কাশেম বাদী হয়ে ৮০ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। এতে ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। আমরা বাকিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার শুরুর দাবি জানাচ্ছি।
মেসেঞ্জার/মান্নান/তারেক