ঢাকা,  সোমবার
১১ নভেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

নরসিংদীতে পূজা উদযাপনে পাশে থাকার ঘোষণা জামায়াতে ইসলামীর

নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:৫৫, ৩ অক্টোবর ২০২৪

আপডেট: ২২:০৯, ৩ অক্টোবর ২০২৪

নরসিংদীতে পূজা উদযাপনে পাশে থাকার ঘোষণা জামায়াতে ইসলামীর

ছবি : মেসেঞ্জার

নরসিংদীতে বিভিন্ন পূজা মন্ডপে কল সেন্টার স্থাপন নিরাপত্তাসহ সার্বিক সাহায্যে ও সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত ৮ টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার গ্যালাক্সি রেস্টুরেন্টের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেলারেল অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন এ ঘোষণা দেন। 

নরসিংদী শহর শাখা জামায়াত ইসলামীর আয়োজনে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় কুরআন তেলাওয়াতের পাশাপাশি গীতা পাঠ দিয়ে মতবিনিময় সভাটি শুরু হয়। এ সময় শহরের ৩৪ টি পূজা মন্ডপের প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। 

নরসিংদী সদর শাখার সভাপতি মাহফুজ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মকবুল হোসেন, শহর আমীর আজিজুর রহমান, নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সদস্য হলধর দাস, সনাতন ধর্মালম্বীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শহর পূজা উদযাপন পরিষদের সেক্রেটারি রাজিব শাহা, ব্রাক্ষণপাড়ার ঘোষপাড়া সার্বজনীন দুর্গোৎসবের সাধারণ সম্পাদক রিপন ঘোষ, বিজয় দশমী সংঘের সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মণ ও মধ্যকান্দা পাড়া বাগবিতান ক্লাবের সভাপতি বিনয় ভূষণ সাহা।

এ সময় হলধর দাস বলেন, "আমাদের নরসিংদী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ীঘর হামলা ও (৫ আগষ্টের) পর মামলা দিয়ে হয়রানির মধ্যে জামায়াত ইসলামী জড়িত নয়। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে তারা সব সময় চেষ্টা করেছে আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য ও সম্প্রীতি বজায় রাখার চেষ্টা করেছে। আমরা সবাই বাংলাদেশী ও বাঙ্গালী হিসেবে দেশ গঠনে সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। 

তিনি আরও বলেন, আমরা সংখ্যালঘু নয়, নিজেদেরকে সংখ্যালঘু হিসেবে পরিচয় দিয়ে নিজেকে ছোট করলে দায় অন্যকারো নয়। আমাদের পরিচয় আমরা বাঙ্গালী ও বাংলাদেশী দেশ গঠনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। জেলা জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল আমজাদ হোসেন বলেন, " আমরা আপনাদের সাথে ১৬ বছর পর আনুষ্ঠানিক ভাবে বসেছি। তবে, আপনাদের সাথে প্রতিবেশী হিসেবে বসবাস করেছি, আমাদের আচরণের বিষয়ে অবগত আছেন। 

তিনি আরও বলেন, "সকল ধর্মের কাজ হলো অন্যের সাহায্য করা, উপকার করা কিন্তু অভিশপ্তরা ধর্মের নামে যে হামলা করে, তা ন্যাক্কারজনক। (৫ আগষ্টের) পর, জামায়াত কারও জায়গা জমি দখল করে নি, এসব কাজে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সম্পৃক্ততা নেই। আমাদের মসজিদ পাহারা দেয়া না লাগলে, মন্দির পাহারা দেয়া লাগবে কেনো। যে মন্দিরে হামলা হবে, যারা হামলা করবে তাদেরকে সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।

এ সময় নিরাপদ ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে পূজা উৎযাপন করতে আমাদের কল সেন্টার স্থাপনসহ সার্বিক সহযোগিতায় থাকবে, সবার মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করার অঙ্গীকার করেন বক্তারা।

মেসেঞ্জার/কাউছার/তারেক