ছবি: মেসেঞ্জার
খুলনার কয়রায় ছোট চাঁদখালি খাল দখল করে অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। খাল দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করায় খালটিতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা তৈরী হয়।ফলে স্থানীয় লোকজনের বাড়িঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্র জানা গেছে,উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের নাকসা মৌজার ছোট চাঁদখালি খালের আনুমানিক ১০ শতক জায়গা অবৈধভাবে ভরাট করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস করছেন নাকশা গ্রামের জলিল মোড়ল ও আয়ুব আলী মোড়ল।
স্থানীয়রা পাকা স্থাপনা নির্মানের সময় বাধা দিলেও কাজ বন্ধ করেননি তারা। সে সময় প্রশাসনকে জানানো হলেও স্থানীয় এমপির বাঁধায় কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। গবাদি পশু চলাচলের জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচি দিয়ে খালের পাশদিয়ে নাকশা বিল অভিমুখে একটি রাস্তা তৈরি করে ইউনিয়ন পরিষদ।
বর্তমানে সেই রাস্তাটিও দখল করে নিয়েছেন তারা। ফলে গবাদিপশু নিয়ে বিলে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে স্থানীয়দের। জলিল মোড়ল ও আয়ুব আলী মোড়ল সহ ১৮ জন ব্যক্তি অবৈধভাবে খালটি দখল করে মাছ চাষ করেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
স্থানীয় বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম জানান, ছোট চাঁদখালি খাল দিয়ে মসজিদকুড় বিল, নাকসা বিল সহ ৫ টি বিলের পানি নামে। পানি সরানোর মুল গেটের পাশে অবৈধ ভাবে ভরাট করে ঘরবাড়ী তৈরী করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, ছোট চাঁদখালি খাল নিয়ে এলাকাবাসী অভিযোগ দিয়েন। সহকারী কমিশনার ভূমিকে তদন্ত পূর্বক অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা দিয়েছি।
মেসেঞ্জার/কামাল/আজিজ