ছবি : মেসেঞ্জার
দীপাবলি উৎসব ও শ্যামা পুজা উদযাপন উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রাইখালী ত্রিপুরা সুন্দরী কালী মন্দির পরিচালনা পর্ষদ এর আয়োজনে বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় মন্দির প্রাঙ্গনে সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের সহযোগিতায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী করা হয়। এতে ৩০জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। সন্ধানী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিটের ১০ সদস্যের একটি টিম এই রক্তদান কর্মসূচী পরিচালনা করেন।
এদিকে এদিন সকাল ১০টা হতে বিনামূল্যে শতাধিক নারী ও পুরুষের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় এবং ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়। এই কার্যক্রম পরিচালনা করেন কাপ্তাই স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) অমর চন্দ্র দাশ এবং নিবাস দে।
এসময় চন্দ্রঘোনা থানার উপ পরিদর্শক সঞ্জয় দাস, মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিপ্লব সেন লাতু, সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী সাজু সহ মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ, কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত। কালীপূজার দিন হিন্দু সম্প্রদায় সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। এটিকে বলা হয় দীপাবলী।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, মা কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী।
এই কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামে শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। দুর্গাপূজার মতো কালীপূজাতেও গৃহে বা মন্ডপে মৃন্মময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয। মন্দিরে বা গৃহে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতুপ্রতিমাতেও কালীপূজা করা হয়।
মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে কালীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
মেসেঞ্জার/রিপন/তারেক