ঢাকা,  বুধবার
১১ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

ডিআইজিসহ পুলিশের ২২১ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

প্রকাশিত: ১৩:৪৬, ৬ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৩:৪৯, ৬ নভেম্বর ২০২৪

ডিআইজিসহ পুলিশের ২২১ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি : সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের উপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) তৎকালীন কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার এবং রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি আনিসুর রহমান ও অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক সহ পুলিশের ২১ সদস্যের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জেলার পবা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে ভুক্তভোগী মারুফ মুর্তজা রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক ফয়সল তারেক মামলার আবেদন আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে এজাহারের অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। 

এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তালাইমারি মোড় থেকে মারুফ মুর্তজা প্রায় ২ হাজার ছাত্র-জনতার সঙ্গে মিছিল নিয়ে পশ্চিম দিকে শহরের পথে রওনা দেন। মিছিলটি দুপুর সোয়া ১ টার দিকে বোয়ালিয়া থানা এলাকার স্বচ্ছ টাওয়ারের কাছে পৌঁছালে মামলার প্রধান আসামি আরএমপির কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে করে মারুফ মুর্তজা সহ আরও অনেকে আহত হন। এ সময় দুইটি গুলি তার পায়ে এসে লাগে। পরে উপস্থিত ছাত্র-জনতা মারুফ মুর্তজা সহ অন্যান্য আহতদের নওদাপাড়ায় অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। মারুফ চিকিৎসা শেষে আসামিদের নাম সংগ্রহ করে থানায় মামলা করতে গেলে ডিউটি অফিসার আদালতে মামলার পরামর্শ দেন। মামলার বাদী অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করেন।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন-আরএমপির তৎকালীন বোয়ালিয়া জোনের ডিসি বিভূতি ভূষণ ব্যানার্জি, আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এডিসি উৎপল, ডিবির তৎকালীন ওসি মশিয়ার রহমান, বোয়ালিয়া থানার ওসি হুমায়ন কবির, ওসি তদন্ত আমিরুল ইসলাম, কর্ণহার থানার ওসি কমল কুমার দেব, কাটাখালী থানার ওসি তৌহিদুর রহমান, বোয়ালিয়ার এসআই কিংকর, এয়ারপোর্ট থানার এসআই আব্দুর রহিম, রাজপাড়া থানার এসআই কাজল নন্দী, বোয়ালিয়া থানার এসআই ইফতেখায়ের আলম, কাটাখালী থানার কনস্টেবল ফুলবাস, বোয়ালিয়া থানার কনস্টেবল আশরাফুল, রাজপাড়া থানার এসআই মানিক, রাজপাড়া থানার এএসআই প্রণব, কর্ণহার থানার এএসআই তসলিম ও এএসআই সিরাজ। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। #

মেসেঞ্জার/দিশা