ঢাকা,  বুধবার
১১ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

লবণ চাষের জমি নিয়ে বিরোধ, স্কুল শিক্ষকসহ ছেলেকে মারধর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ২২:০১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১২:০৩, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

লবণ চাষের জমি নিয়ে বিরোধ, স্কুল শিক্ষকসহ ছেলেকে মারধর

ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় লবণ চাষের জমি বর্গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্কুল শিক্ষকসহ তাঁর ছেলেকে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পাঁচ সহোদরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে থানায়।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) কুতুবদিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন স্থানীয় আফাজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজের হোছাইন কুতুবী।

মামলায় অভিযুক্তরা হলে, মো. ইউনুছ (৪২), মো. এমরান (৪০), সাইফুল ইসলাম (৩৮), শাহাজান (৪৯) ও মো. আনিচ (৩৫)।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত দু'বছর লবণ চাষের জন্য অভিযুক্তদের বর্গা দেওয়া জমির দেনা পরিশোধ না করায় চলতি বছর অন্য জনকে সেই জমি বর্গা দেন স্কুল শিক্ষক নাজের হোছাইন কুতুবী। এ ঘটনার জের ধরে ওই জমি বর্গা নেওয়া আবুল বশর চাষের জন্য জমিতে গেলে গত ১০ নভেম্বর ইউনুছ ও তার ভাইয়েরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে জমি থেকে তুলে দেন। এ ঘটনায় কুতুবদিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগও করা হয়।

তবে আক্রোশ ধরে রাখতে না পেরে গত ১১ নভেম্বর সকাল ৭টার দিকে উপজেলার উত্তর ধূরুং মনছুর আলী হাজী পাড়ায় ওই স্কুল শিক্ষকের ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র জে আই এম হোসাইন সাকিবকে মারধর করে অভিযুক্তরা। এসময় সাকিবের মাথার খুলি, ডান হাত ও কোমরে আঘাত করে। তাকে উদ্ধার করতে এলে তার বাবা নাজের হোছাইন কুতুবী, চাচা জায়েদুল ইসলাম, ভাই কামরুল হোছাইন ও দাদা নুরুল ইসলাম ও নুর সোলতানের উপরও হামলা করা হয়। পরে ওই কিশোরকে কুতুবদিয়া মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে সাকিব।

অভিযুক্ত ইউনুছের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্যা ডেইলি মেসেঞ্জারকে বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তার ভাইকে মারধর করে অভিযোকারীরা। তার ভাই কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে ব্যবস্থাপত্র সম্পর্কে জা অতে চাইলে তিনি তা দিতে পারেন্নি। এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাকিবের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে তিনি সন্দেহ পোষণ করেন।

এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরমান হোসেন দ্যা ডেইলি মেসেঞ্জারকে বলেন, উভয়পক্ষ থেকে পালটাপালটি মামলা করেছে। মামলা গ্রহণ করেছি। তদন্তে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেসেঞ্জার/সাখাওয়াত/এসকে/ইএইচএম