
ছবি : মেসেঞ্জার
আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন সাত দিনের মধ্যে উপজেলার সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এ সিদ্ধান্তে ভাটা মালিক ও হাজারো শ্রমিক চরম বিপাকে পড়েছেন।
ভাটা মালিকরা জানান, তাদের ইটভাটার লাইসেন্স বা ছাড়পত্র নেই। তাই তারা মহামান্য হাইকোর্টে লাইসেন্স ও ছাড়পত্রের জন্য রিট পিটিশন করেছেন এবং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন ভাটা বন্ধ হলে কোটি কোটি টাকার লোকসান হবে। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়ে মতবিনিময় সভা করেছেন ভাটা মালিকরা।
আল্লারদান (এডিবি) ব্রিকসের মালিক মো. আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন এসএকে (মা) ব্রিকসের মালিক রুহুল আমিন খান, ত্রি-স্টার ব্রিকসের আশরাফুল আলম, মেসার্স এএসএম ব্রিকসের জি.এম. অহেদুজ্জামান, সরদার (এমএসবি) ব্রিকসের কামাল সরদার, ফাইভস্টার ব্রিকসের মো. মিরাজুল ইসলাম, বিএকে ব্রিকসের এম. মহিউদ্দিন খান, সরদার মা ব্রিকসের নাজমুল হুদা মিথুন এবং বিসমিল্লাহ (বিবিএম) ব্রিকসের মালিক খলিলুর রহমান। সভায় ভাটা মালিকরা মানবিক দিক বিবেচনা করে ইটভাটা চালু রাখার অনুরোধ জানান।
শনিবার (৮ মার্চ) সরেজমিনে গেলে ভাটা মালিকরা বলেন, ২০১২-১৩ সালে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, ডিসির অনুমতি, সরকারি রাজস্ব, ভ্যাট, আয়কর, ফায়ার সার্ভিস ও শ্রম অধিকার সংক্রান্ত সনদ নিয়ে তারা ভাটা পরিচালনা করে আসছেন।
ভাটা মালিক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ভাটা বন্ধ হলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব। বর্তমানে উপজেলায় ১৩টি ভাটায় প্রায় ৫০ হাজার নারী-পুরুষ শ্রমিক কাজ করছেন। এগুলো বন্ধ হলে সবাই বেকার হয়ে পড়বে, মালিকরা দেউলিয়া হয়ে যাবে।
ভাটা শ্রমিক ইউনুচ আলী বলেন, ঈদের আগে ভাটা বন্ধ হলে আমাদের হাজার হাজার পরিবার রাস্তায় বসবে। অন্তত এই মৌসুমটা ভাটা চালু থাকলে আমরা উপকৃত হব।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন জানান, আদালতের নির্দেশনার বাইরে কিছু করার সুযোগ নেই। পরিবেশ রক্ষায় আইন প্রয়োগ করতেই হবে।
তিনি আরো জানান, মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন নম্বর ১৩৭০৫/২০২২-এর প্রেক্ষিতে উপজেলার সব অবৈধ ইটভাটা ও ভাটায় কাঠের ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মেসেঞ্জার/সবুজ/তুষার