
ক্যাপশন : রাজশাহীতে বাসায় ঢুকে চাঁদা দাবি, ভাংচুর, লুটপাট ও মারধোরের অভিযোগে একই চক্রের চার ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে -টিডিএম।
রাজশাহী মহানগরীর বড়বনগ্রাম এলাকায় এক ফ্রিল্যান্সারের বাসায় ঢুকে মারধর ও চাঁদা দাবির অভিযোগে একই চক্রের চার সদস্যকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। রবিবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের নিকট থেকে একটি খেলনা পিস্তল, চাকু, ভুক্তভোগীদের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, স্টাম্পসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নগরীর শাহমখদুম থানার বড়বনগ্রাম রায়পাড়ার সাজ্জাদুর রহমান, একই এলাকার হাসানুর রহমান রাব্বি, ভাড়ালিপাড়ার রাকিব হাসান ও বোয়ালিয়া থানার কুমারপাড়ার সানি রহমান। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র সাবিনা ইয়াসমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপালগঞ্জের এক ব্যক্তি বড়বনগ্রাম রায়পাড়ায় ভাড়া বাসায় থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করেন। রবিবার বিকালে তার বান্ধবী জরুরি প্রয়োজনে ঐ বাসায় তার সঙ্গে দেখা করতে যান। কিছুক্ষণ পর ঐ চারজন দেশীয় অস্ত্রসহ জোরপূর্বক বাসায় প্রবেশ করেন। তারা দু’জনের মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেন এবং পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ভুক্তভোগীদের মারধর করেন এবং বাসার বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর চালায়।
এছাড়াও অভিযুক্তরা ঐ ফ্রিল্যান্সারের বান্ধবীর ব্যক্তিগত ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্তরা ঐ তরুণীকে শারীরিক সম্পর্কের কুপ্রস্তাব দেয় এবং রাজি না হওয়ায় মারধর করে। তাকে ধর্ষণের চেষ্টাও করা হয়। ঐ ফ্রিল্যন্সার কৌশলে তার সহকর্মীর মাধ্যমে ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করেন।
এ সময় অভিযুক্তরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে নগরীর শাহ মখদুম থানায় মামলা হয়। ঐ মামলায় গ্রেপ্তার চারজনকে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/তুষার