ঢাকা,  শুক্রবার
০৯ মে ২০২৫

The Daily Messenger

দেবে গেছে কালভার্ট, সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

রায়হান সিকদার, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:১৫, ১৯ মার্চ ২০২৫

দেবে গেছে কালভার্ট, সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

ছবি : মেসেঞ্জার

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের এমচরহাট বাজার বায়তুশ শরফ জামে মসজিদের উত্তর পার্শ্বে সড়কের উপর দীর্ঘদিনের নির্মিত কালভার্টটি দেবে গিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যার ফলে সড়ক দিয়ে সাধারণ মানুষ, গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। কালভার্টটির নিচ থেকে মাটি ধসে মাঝ বরাবর দেবে বড় ধরনের ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই ফাটল বড় হচ্ছে।

সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার পুটিবিলা এমচরহাট বাজারে মসজিদ সংলগ্ন সড়কের উপর নির্মিত এ সড়কটি দীর্ঘ ৪০বছর আগের। গত ৩/৪দিন পূর্বে সড়কে কালভার্টটি দেবে গিয়ে চলাচল অনেকটাই বন্ধ রয়েছে। এ সড়ক দিয়ে গ্রাম থেকে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন সবজি নিয়ে বিক্রি করতে নিয়ে আসে।

ডাম্পার, সিএনজি ও অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন মালামালের গাড়ি চলাচল করে থাকে। সড়কে নির্মিত কালভার্টটি দেবে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ ও গাড়ি চলাচলে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমনকি সড়ক দিয়ে একমাত্র চলাচল করে বায়তুশ শরফ মসজিদের মুসল্লীরা। অতি কষ্টে মুসল্লীরাও চলাচল করতে হচ্ছে। এ কালভার্টের সাথে নালাও রয়েছে। ইতোমধ্যে নালাটি ভরাট করে এমচরহাট বাজার এলাকার পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

এমচরহাট বাজারের ব্যবসায়ী নুর হোসেন বলেন, মসজিদ সংলগ্ন সড়কের কালভার্টটি অনেক দিনের পুরোনো। এ কালভার্ট দীর্ঘ ৪০বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। সড়কটিতে কালভার্টটি অতি দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া না হলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। দ্রুত এখানে আরেকটি নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা দরকার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক মোহাম্মদ কালু মিয়া বলেন, প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। কিন্তু কালভার্টটির বাজে অবস্থা। গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে পারি না। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত নতুনভাবে কালভার্ট নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাস্টার নাছির উদ্দিন বলেন, এ সড়কটি মসজিদে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম। সাধারণ মুসল্লীরা সড়ক দিয়ে মসজিদে নামাজ পড়তে আসে। বাজার করতে আসে। কালভার্ট দেবে যাওয়ায় সড়কটি দিয়ে যোগাযোগ করা মুশকিল। এ পথে চলাচল করতে ভয় হয়। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই নতুন করে কালভার্ট নির্মাণ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং পিআইও মহোদয়কে অবগত করব।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ নাহিদ আহমেদ জাকির বলেন, সড়কে কালভার্ট দেবে যাওয়ার বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জেনেছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা আমাকে অবগত করেনি। তারা কালভার্টটির বিষয়ে অবগত করলে সরেজমিনে পরিদর্শন করে সড়কে কালভার্ট মেরামতের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মেসেঞ্জার/তুষার