ছবি : সংগৃহীত
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের দপ্তরে দাপ্তরিক কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটারের সিপিইউ ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা করার অনুমতি পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুদক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানান, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
দুদকের পক্ষে এ আবেদন করেন কমিশনের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। আবেদনে উল্লেখ করেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন দপ্তরে বদলী, পদোন্নতি ও জনবল নিয়োগে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ঘুস গ্রহণের অভিযোগের বিষয়ে পাঁচ সদস্যের একটি অনুসন্ধানকারী টিমের অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।
অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিএস মনির হোসেনের দাপ্তরিক কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটারে নিয়োগ বদলি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে ঘুসের বিনিময়ে তদবিরসহ আরও অবৈধ লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে গত ২২ আগস্ট দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর এপিএস মনির হোসেনের ব্যবহৃত রুম নং-৩০৪ থেকে তার ব্যবহৃত কম্পিউটারের সিপিইউটি জব্দ করা হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে কম্পিউটারের সিপিইউ এর হার্ডডিস্ক ও এসএসডি টি ব্ল্যাংক অবস্থায় পাওয়া যায়। হার্ডডিস্ক ও এসএসডি টি ব্ল্যাংক থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ বদলি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে ঘুসের বিনিময়ে তদবিরসহ আরও অবৈধ লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। যা ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা করলে উদ্ধার করার সম্ভাবনা রয়েছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ওই কম্পিউটারের সিপিইউ এর হার্ডডিস্ক ও এসএসডির তথ্য উদ্ধারে ফরেনসিক মতামত বিশেষ প্রয়োজন।
মেসেঞ্জার/আজিজ