
ছবি : সৌজন্য
তরুণ প্রজন্মের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে ভিভো নিয়ে এসেছে ওয়াই সিরিজের নতুন স্মার্টফোন ভিভো ওয়াই১৮। ৯০ হার্জ হাই ব্রাইটনেস ডিসপ্লে, ৬ জিবি র্যামের সাথে ১২৮ জিবি স্টোরেজ, ৫০ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ক্লিয়ার ক্যামেরা, মিডিয়াটেক জি৮৫ হেলিও প্রসেসরসহ দারুণ সব অত্যাধুনিক ফিচার পাওয়া যাবে ভিভো ওয়াই১৮ এ।
মিলবে ওয়েভ অ্যাকুয়া এবং মোকা ব্রাউন নামের নান্দনিক দুইটি রঙয়ে। দাম ১৫ হাজার ৯৯৯ টাকা। ৬ দশমিক ৫৬ ইঞ্চি এলসিডি ক্যাপাসিটিভ মাল্টিটাচ ডিসপ্লে থাকছে ভিভো ওয়াই ১৮ তে। রেজুলেশন ১৬১২ * ৭২০ এবং পিক ব্রাইটনেস ৮৪০ নিটস।
ফলে ভিডিও কন্টেন্ট দেখার অভিজ্ঞতা হবে দারুণ। এছাড়া ৬ জিবি র্যামের পাশাপাশি আরো ৬ জিবি র্যাম বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে ফোনটিতে। স্টোরেজের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিতে এতে রয়েছে ১২৮ জিবি রম। আর মিডিয়াটেক জি৮৫ হেলিও প্রসেসরের ফোনটির অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে থাকছে ফানটাচ ওএস ১৪ যা মূলত অ্যান্ড্রয়েড ১৪ এর আপডেট ভার্সন।
স্মার্টফোনটির পুরুত্ব ৮ দশমিক ৩৯ মিলিমিটার। ওজন মাত্র ১৮৫ গ্রাম। ২.৫ডি কার্ভড ডিজাইন ও কম্পোজিট প্লাস্টিক ম্যাটেরিয়ালের সিল্কি স্মুথ ফিনিশ ফোনটি দেবে দুর্দান্ত লুক। এছাড়াও এতে রয়েছে দ্রুত ফোন লক-আনলক করতে সহায়ক সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর।
পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ১৫ ওয়াটের টাইপ সি ফ্লাশ চার্জার থাকায় ফোনটি একবার চার্জে চলবে সারাদিন। ভিভো ওয়াই ১৮ স্মার্টফোনে ব্যাক সাইডে থাকছে ৫০ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ক্লিয়ার ক্যামেরা। সেলফিপ্রেমীদের জন্য থাকছে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা।
স্মার্টফোনটিতে চমৎকার ছবি তোলার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ক্যামেরা মোড। এমনকি রাতেও পরিষ্কার ছবি তোলার জন্য ব্যাকসাইডে ফ্ল্যাশসহ রয়েছে সুপার নাইট মোড। এছাড়াও থাকছে পোট্রেইট, ফটো, ভিডিও, প্যানো, ডকুমেন্টস, স্লো-মো, টাইম-ল্যাপস, প্রো, লাইভ ফটো মোড। শখের ফটোগ্রাফির জন্য এটি হবে বাজেটের মধ্যে সেরা স্মার্টফোন।
(১ জুন) থেকে দেশের যেকোনো ভিভোর অথোরাইজড শোরুমগুলোর পাশাপাশি ই-স্টোরে মিলবে ভিভো ওয়াই১৮। স্মার্টফোনটি কিনলেই থাকছে ঈদ উপহার। আকর্ষনীয় রিরো বি১০ নেকব্যান্ড, ছাতা, রিরো ভাউচার, টি-শার্ট ও জিপি অফারসহ বিভিন্ন উপহার জেতার সুযোগ থাকছে।
ভিভো প্রসঙ্গে
ভিভো একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে। মানুষ আর ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য।
অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ভিভো ব্যবহারকারীদের হাতে যথোপযুক্ত স্মার্টফোন ও ডিজিটাল আনুষাঙ্গিক তুলে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধকে অনুসরণ করে ভিভো টেকসই উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে; সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হওয়াই যার ভিশন।
স্থানীয় মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ ও উন্নয়নের মাধ্যমে শেনজেন, ডনগান, নানজিং, বেজিং, হংঝু, সাংহাই, জিয়ান, তাইপে, টোকিও এবং সান ডিয়াগো এই ১০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে (আরএন্ডডি) কাজ করছে ভিভো। যা স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কনজ্যুমার টেকনোলজির উন্নয়ন, ফাইভজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং আসন্ন প্রযুক্তির ওপর কাজ করে যাচ্ছে।
চীন, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভিভোর পাঁচটি প্রোডাকশন হাব আছে (ব্র্যান্ড অথোরাইজড ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টারসহ) যেখানে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বানানোর সামর্থ্য আছে। এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক আছে ভিভোর এবং বিশ্বজুড়ে ৪০০ মিলিয়নের বেশি ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে।
মেসেঞ্জার/তারেক