
ছবি : সংগৃহীত
জলবায়ু সহিষ্ণু ও টেকসই প্রবৃদ্ধি, শহরাঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আর্থিক পরিস্থিতি এবং আর্থিক খাতে নীতিমালা জোরালো করতে বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৯০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যা বাংলাদেশি টাকায় ১০ হাজার ৫৫২ কোটি ৫০ লাখ (প্রতি ডলার ১১৭.২৫ টাকা ধরে)।
বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের বোর্ড গতকাল শুক্রবার এ ঋণের অনুমোদন দেয়। শনিবার (২২ জুন) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো বাংলাদেশকে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্য সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
নতুন অর্থায়ন বাংলাদেশকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। একটি হচ্ছে আর্থিক খাত ও নগর ব্যবস্থাপনা এবং অন্যটি উচ্চ মধ্যম-আয়ের দেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুই কিস্তি ঋণের শেষ কিস্তি হিসেবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের আর্থিক খাতে সংস্কারের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়নের গতি বাড়াবে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন সহ ভবিষ্যতে যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করবে। এছাড়া অন্য একটি প্রকল্পের জন্য দেওয়া হচ্ছে ৪০০ মিলিয়ন ডলার।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ইকোনমিস্ট বার্নার্ড হ্যাভেন বলেন, বিনিয়োগ বাড়াতে এবং আনুষ্ঠানিক ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে বাদ পড়াদের জন্য অর্থের অ্যাক্সেস উন্নত করতে বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো কার্যকরী আর্থিক খাত গুরুত্বপূর্ণ।
সরকার বাহ্যিক ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলায় শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংস্কার এবং আর্থিক খাত শক্তিশালী করার জন্য একটি নতুন আইনি কাঠামো গ্রহণ করেছে। যা ব্যাংক পুনরুদ্ধার কাঠামোকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
কম মূলধনী ব্যাংকগুলো সমস্যা মোকাবিলার জন্য একটি দ্রুত সংশোধনমূলক কর্মকাঠামো বাস্তবায়ন করতে সহায়তা করবে। এটি অর্থনৈতিক মন্দা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের রক্ষা করে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিও শক্তিশালী করবে বলে জানান তিনি।
মেসেঞ্জার/আপেল