ছবি: সংগৃহীত
প্রায় দশ মাস পর প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের ৫৫০ ডলারের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্যের (এমইপি) শর্ত বাতিল করেছে ভারতের সরকার।
শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য সংক্রান্ত শর্ত বাতিলের এই আদেশ জারি করেছে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড।
একই সঙ্গে গত মে মাসে পেঁয়াজের চালানের ওপর আরোপিত ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভারতের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্য মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পেঁয়াজ রপ্তানির শর্ত বাতিলের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বর্ষা মৌসুমের পর ঘাটতির আশঙ্কায় দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানতে গত বছরের ডিসেম্বরে ভারতের সরকার পেঁয়াজের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। তবে প্রতিবেশি ও বন্ধুপ্রতীম কিছু দেশের কূটনৈতিক অনুরোধের ভিত্তিতে সীমিত পরিসরে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল ভারতের সরকার।
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের কৃষকরা ব্যাপক লোকসানের মুখোমুখি হন। একই সঙ্গে বিশ্ববাজারেও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে এর প্রভাব পড়ে। রপ্তানি নিষিদ্ধ করায় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভারতের কৃষকরা। প্রায় ৬ মাস পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার পর গত মে মাসে তা তুলে নেওয়া হয়। তবে সেই সময় প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৫৫০ ডলার নির্ধারণ ও রপ্তানি শুল্ক ৪০ শতাংশ করা হয়।
শুক্রবার দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ন্যূনতম রপ্তানি মূল্যের শর্ত বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় পেঁয়াজের রপ্তানি শুল্ক ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করে একটি নির্দেশ জারি করে।
মেসেঞ্জার/ফামিমা