ঢাকা,  শনিবার
২৭ জুলাই ২০২৪

The Daily Messenger

যবিপ্রবিতে ১৭ চাকরিপ্রার্থীকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ

যবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:৫০, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

আপডেট: ২১:৫২, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

যবিপ্রবিতে ১৭ চাকরিপ্রার্থীকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ

উপাচার্যের কক্ষে ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লিফট অপারেটর পদে পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা ১৭ চাকরিপ্রার্থীকে হলে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগকারী চাকরিপ্রার্থীরা দাবি করেন, আজ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যবিপ্রবিতে পরীক্ষা দিতে গেলে তাদের যবিপ্রবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে ছাত্রাবাস নিয়ে যায়। সেখানে তাদের একটি কক্ষে ছয় ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার কথা জানিয়েছেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।

ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লিফট অপারেটর পদের চাকরি পরীক্ষা হয়েছে। ১১টি পদের বিপরীতে এই পরীক্ষায় প্রার্থী ছিলেন ৩৮ জন। এর মধ্যে ২১ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়।

যবিপ্রবি সূত্রে জানা গেছে, লিফট অপারেটর পদে ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালের কয়েকজন প্রার্থী ছিল। তাদের প্রার্থী ছাড়া অন্যরা যাতে পরীক্ষা দিতে না পারে সে জন্য আজ সকাল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। অন্য কোনো প্রার্থী আসলেই তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসীয়ূর রহমান ছাত্রবাসের ৩০৪ ও ৩০৯ নাম্বার কক্ষে আটকে রাখা হয়।

পরে পরীক্ষা শেষে ৬ ঘণ্টা পর ভুক্তভোগী প্রার্থীদের নিয়ে যেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রার্থী ছাড়া কাউকে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, “বৃহস্পতিবার যবিপ্রবিতে লিফট অপারেটর পদের চাকরির পরীক্ষা ছিল। সকাল ১০টার দিকে আমি জানতে পারলাম কিছু পরীক্ষার্থীকে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৩০৪ নম্বর রুমে ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানার কর্মীরা আটকে রেখেছে।

আমি হলের প্রভোস্টকে বিষয়টি দেখার জন্য পাঠাই। পরে প্রভোস্ট ফিরে এসে আমাকে জানায় রুমে কাউকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু বেলা ১২ টার দিকে যখন আমি অফিসে আসি তখন তাদের অভিভাবকরা আমার সঙ্গে দেখা করে তাদের স্বজনদের অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে।

বিকেল তিনটার দিকে অপহরণকারী পরীক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তারা আমাকে জানায় তাদের হলের তিন তলার ৩০৪ ও ৩০৯ নম্বর রুমের পাঁচতলার বিভিন্ন রুমে আটকে রাখা হয়। পরে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাজনক। এর সুষ্ঠ তদন্ত করে কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। “

মেসেঞ্জার/সান ইয়াৎ