ঢাকা,  শনিবার
২৭ জুলাই ২০২৪

The Daily Messenger

রাবিতে শিক্ষকের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিতের অভিযোগ

মীর কাদির, রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:০৪, ২৩ জানুয়ারি ২০২৪

রাবিতে শিক্ষকের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিতের অভিযোগ

ছবি: ডেইলি মেসেঞ্জার

মার্কেটিং বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সহকর্মীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে বিভাগের সভাপতি মো. নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিভাগের ৪৬৪তম একাডেমিক কমিটির সভায় ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষক এবং বিভাগের একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা কমিটির এক্সটার্নাল শিক্ষক নির্ধারণ নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। সাধারণত নিয়ম অনুযায়ী বিভাগের পরীক্ষা কমিটিতে সভাপতিসহ মোট পাঁচজন সদস্য থাকে। এর মধ্যে একজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয় (এক্সটার্নাল শিক্ষক) সাধারণত পরীক্ষা কমিটির যিনি সভাপতি হোন তিনি তার পছন্দমতো এক্সটার্নালের নাম সুপারিশ করেন। এটি বিভাগের প্রচলিত নিয়ম।

তবে বিভাগের বর্তমান সভাপতি, পরীক্ষা কমিটির সভাপতির সুপারিশ না নিয়ে আগেই একজন এক্সটার্নাল শিক্ষককে কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন। পরীক্ষা কমিটির সভাপতি এই বিষয়টি নিয়ে সভায় আপত্তি জানান। এসময় তাঁর পক্ষ নেন সভায় উপস্থিত অধিকাংশ শিক্ষক। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক পরীক্ষা কমিটির সভাপতির পক্ষ নিয়ে কথা বলা শুরু করেন। সময় বিভাগের সভাপতির সঙ্গে তাঁর বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সভাপতি তার চেয়ার থেকে তেড়ে এসে ভুক্তভোগী শিক্ষকের গলা চেপে ধরেন। পরে উপস্থিত শিক্ষকরা তাঁকে থামান। পরে সেখানেই সভার সমাপ্তি ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষক বলেন, সিদ্ধান্তটি নিয়ে সভাপতির পক্ষ নিয়ে কথা বললে তাঁর সঙ্গে আমার তর্ক হয়। পরে তিনি চেয়ার ছেড়ে তেড়ে এসে আমার গলা চেপে ধরেন। আমি পাল্টা আক্রমণ না করে তাকে নিষেধ করি। কিন্তু তার পরেও আরও মারার চেষ্টা করেন। পরে উপস্থিত শিক্ষকরা তাঁকে থামান। এতে আমি প্রচণ্ডভাবে অপমানিত হয়েছি।

ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, এর আগেও একজন শিক্ষক ছাত্রকে লাঞ্ছিত করেছেন তিনি। তার কাছে কোনো সহকর্মী নিরাপদ নয়। এই পদে থাকার তার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।

নাম প্রকাশ না করে শর্তে বিভাগের এক শিক্ষক বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষক একটু উচু গলায় কথা বলেছেন। মিটিংয়ে সাধারণত এমন হয়েই থাকে। তবে বিভাগের সভাপতির উচিত হয়নি তাকে লাঞ্ছিত করার। তাও ভালো ভুক্তভোগী শিক্ষক কোনো পাল্টা আক্রমণ করেননি। যদি হতো তাহলে বিষয়টি অন্য দিকে মোড় নিত।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি মো. নুরুজ্জামান বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। মুঠোফোনে এর চেয়ে বেশি কথা বলবেন না বলে জানান তিনি। কাল অফিসে এসে বিস্তারিত কথা বলতে বলেন।

মেসেঞ্জার/কাদির/আল আমিন