ছবি : মেসেঞ্জার
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তি প্রোগ্রামের এএলএস (আর্টস-ল-স্যোশাল সায়েন্স) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমবারের মতো কেন্দ্র হিসেবে এই পরীক্ষা আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেলবন্ধনের নবসূচনা হলো।
ভর্তি পরীক্ষা শুরুর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন। এ সময় ভিজিল্যান্স উপ-কমিটির সদস্য ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে গ্রহণ করা হয়েছে। ময়মনসিংহ অঞ্চলের কেন্দ্র হিসেবে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নেওয়ায় আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামল মহোদয়কে আমাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মেলবন্ধনের যে নবসূচনা হলো আশাকরি ভবিষ্যতেও এটি অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী, ছাত্রদের রাজনৈতিক সংগঠনসহ ক্রিয়াশীল সংগঠন, স্থানীয় প্রশাসন, জনগণ, সাংবাদিকবৃন্দ সবাই আমাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন।
ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সকলেই নিরলস পরিশ্রম করেছেন। মোট কথা সকলের সহযোগিতা পাওয়ার মধ্য দিয়েই আমাদের এই ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত আনন্দমুখর ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ জন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আস্থার জায়গায় উপনীত করা প্রশাসনের লক্ষ্য জানিয়ে ভবিষ্যতে অন্য প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবেও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে বিবেচনা করা যেতে পারে বলে আশাবাদ জানান উপাচার্য।
পরীক্ষার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেখে উপস্থিত অভিভাবকরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, এএলএস ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭হাজার ২শত ৬৬জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬হাজার ৭শত ৬৪জন পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত ছিলেন ৫০২জন। উপস্থিতির হার ৯৩.০৯ শতাংশ। উক্ত ইউনিটের ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে সারাদেশ থেকে আবেদন করেছিল ভর্তি পরীক্ষার জন্য এক লাখ ১২ হাজার ২৭৯ জন।
মেসেঞ্জার/বাপ্পি/আপেল