চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) মাদকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লেখালেখির কারণে চুয়েট সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে হেনস্তা এবং সাংগঠনিক সম্পাদককে ছাত্রলীগ কর্তৃক মারধরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি-(ডুজা), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি,গন বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি,যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি,বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি।শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের সংগঠন থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।
চুয়েটে বেপরোয়া মাদক সেবনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে চুয়েট সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাম রব্বানীর লেখার জেরে সমিতির সভাপতি জিওন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সাঈদ চৌধুরীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে ডেকে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির উপ গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আইদিদ আলমের নেতৃত্বে প্রায় দশ জনের একটি দল।‘চার ঘণ্টারও বেশি সময় তাদের আটকে রেখে গালাগালি ও হেনস্তা করে ছাত্রলীগের নেতারা।
এ সময় তারা বারবার ছাত্রলীগের পরিচয় ব্যবহার করে সাংবাদিক সমিতির নেতাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। পাশাপাশি সাংবাদিক সমিতির কেউ যদি ভবিষ্যতে মাদকের বিরুদ্ধে লেখালেখি করে তাহলে তার জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলে তারা হুঁশিয়ারি করে। পরে চুয়েট সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাম রব্বানীকে ডেকে নিয়ে প্রথমেই তার ফোন কেড়ে নেওয়া ও তাকে হেনস্তা করা হয়। ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির উপ গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আইদিদ আলম, সদস্য মো. ইমরান হাসান মুরাদ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ নাহিয়ান তাকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে।
মাদকের বিরুদ্ধে লেখায় সাংবাদিক নির্যাতনের এমন ঘটনায় ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা চিন্তিতও বটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির প্রকাশিত বিবৃতিতে সভাপতি ও সম্পাদক জানান,আমরা স্তম্ভিত ও ক্ষুব্ধ। সাংবাদিকদের কাজে বাধা না দিতে বারংবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও এমন ঘটনা ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের জন্য লজ্জার। এমন ঘটনা সংবিধান স্বীকৃত গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাক স্বাধীনতার উপর হামলা বলে আমরা মনে করি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এ ঘটনাকে হালকাভাবে না দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান জানাই। অন্যথায় সারা দেশের ক্যাম্পাসগুলোতে কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ডেইলি মেসেঞ্জার/এএইচএস
