ঢাকা,  শনিবার
২৭ জুলাই ২০২৪

The Daily Messenger

সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলেন খুকৃবির ড. হাফিজ

যবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:৫২, ১ এপ্রিল ২০২৪

সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলেন খুকৃবির ড. হাফিজ

ছবি : মেসেঞ্জার

প্রভাষক পদ থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) কোয়ালিটি কন্ট্রোল এন্ড সেইফটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ড. মোঃ হাফিজুর রহমান। গত ২২ মার্চ ২০২৪ খ্রি. তারিখে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাছাই বোর্ডের সুপারিশ ও সিন্ডিকেটের ১৬তম অধিবেশনে গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ড. মোঃ হাফিজুর রহমান” কে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়। উচ্চতর ডিগ্রী (পিএইচডি) নিয়ে প্রভাষক পদে যোগদান করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ২ বছরের পরিবর্তে তিনি ১ বছর পেরোনোর পরই সহকারী অধ্যাপক পদের যোগ্যতা অর্জন করেন।

ড. হাফিজ,  বরিশাল জেলার বানারিপাড়া থানার অন্তর্গত বিশারকান্দি গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কৃতিত্বের সাথে ২০০৬ ও ২০০৮ সালে বরিশাল বোর্ড থেকে যথাক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। উচ্চ মাধ্যমিকের পর গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ২০১৪ সালে তিনি কৃতিত্বের সসথে স্নাতক সম্পন্নের পর ২০১৬ সালের একই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। একই বছরে তরুন এ গবেষক “চাইনিজ একাডেমী অফ

এগ্রিকালচারাল সাইন্সের(CAAS)” অন্যতম ইন্সিটিউট “ইন্সিটিউট অফ ফুড সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি” কর্তৃক “ল্যাবরেটরি অফ ফুড কেমিস্ট্রি এন্ড নিউট্রিশান সাইন্স” এ একজন “পিএইচডি গবেষক” হিসাবে আমন্ত্রণ পান এবং ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট মাত্র ২৮ বছর বয়সে অত্যন্ত সফলতার সাথে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। 

পিএইডি সম্পন্নের পর দেশে ফিরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন সার্বক্ষণিক “পোস্টডক গবেষক” হিসাবে কাজ করার আমন্ত্রণ পান এবং গবেষণাকর্ম সম্পন্ন করার জন্য ২০২১ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের পোস্টডক্টরাল ফেলো নির্বাচিত হন। ড. হাফিজ ২০২২ সালের ৩০ জুন পোস্টডক গবেষণা শেষ করেন এবং জুলাই মাসে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন।

ড. হাফিজ তার স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি উভয় পর্যায়ের থিসিসে “গ্লুটেন প্রোটিন মুক্ত বেকারি (Bakery) প্রোডাক্টস” নিয়ে গবেষণা করেন। ইতোমধ্যেই তিনি এই বিষয়ক একাধিক প্রকাশনা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক হাই-ইমপ্যাক্ট জার্নালে প্রকাশ করেন। এর বাইরেও তিনি নানান বিষয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আর্টিকেল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ করেছেন। তিনি ভারত, পাকিস্তান ও চায়নার সাথে কোলাবোরেটিভ গবেষণায় যুক্ত আছেন। এছাড়াও, ড. হাফিজ চায়নাতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় “Foreign Expert”  হিসাবে কাজ করছেন। 

গবেষণা নিয়ে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে শিক্ষা ও গবেষণার বাইরে চিন্তা করার সুযোগ নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গবেষণার বিকল্প কিছু আছে বলে মনে করছি না। তাই চেষ্টা করছি শিক্ষা ও গবেষণাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে যার মাধ্যমে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের জন্য অবদান রাখতে পারি।” 

মেসেঞ্জার/নিশাত/শাহেদ