
ছবি : ডেইলি মেসেঞ্জার
চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) এর দুই ছাত্র গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনো দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল থেকে চুয়েট ক্যাম্পাসের সামনের কাপ্তাই সড়কে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শত শত শিক্ষার্থী সড়কে অবস্থান নিয়ে তাদের আন্দোলন করতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি সড়ক অবরোধ করেন। এর ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে উক্ত রাস্তায়। আটকে পড়েন অসংখ্য যাত্রী। বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা নয় দফা দাবি তুলে ধরেন। এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন বলে জানানো হয়।
শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলও পলাতক চালক ও তাঁর সহযোগীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা। পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার সহিত ক্যাম্পাসে আধুনিক চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন, আধুনিক সরঞ্জামসহ অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা বৃদ্ধি। রাস্তার মাথা এলাকা থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত চার লেন মহাসড়ক করা, প্রতিটি বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার কাগজপত্র ও চালকদের লাইসেন্স নিয়মিত যাচাই করা, ছাত্রকল্যাণ পরিষদকে জবাবদিহির আওতায় আনা এবং ছাত্র প্রতিনিধিদল গঠন করা, আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ব্যয় বহন করা।
এসব দাবি লিখিতভাবে না মানা পর্যন্ত চুয়েটের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত থাকবে বলে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন।
আন্দোলনের পাশাপাশি দুপুর ১২টায় নিহত শিক্ষার্থীর গায়েবানা জানাজা এবং বেলা তিনটায় শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেবেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগরে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন চুয়েটের তিন শিক্ষার্থী। দ্রুতগতির শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস শিক্ষার্থীদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তওফিক হোসেন।
মেসেঞ্জার/সজিব