
ছবি : মেসেঞ্জার
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে সোমবারও ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এদিকে ৬৪ জেলায় আরও কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এজন্য ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সারাদেশে প্রতিনিধি বৈঠক করবেন তারা। এদিনও তারা অনলাইনে-অফলাইনে গণসংযোগ করবেন। এরপর বিকালে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
শিক্ষার্থীরা কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দাবিতে আন্দোলন করছেন। দাবিগুলো হলো-১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা। ২. কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যতীত)। ৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া। ৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন : কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে বেগবান করতে ৬৫ সদস্যের সমন্ব^য়ক টিম গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান চার সমন্বয়কই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী। সোমবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই আন্দোলনের সমন্বয়ক টিমের বিষয়ে জানানো হয়। কোটাবৈষম্যের বিরুদ্ধে ও স্থায়ী সমাধানের দাবিতে আন্দোলন সফল করতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে এই সমন্বয়ক টিম গঠনের কথা বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
অন্যতম প্রধান চার সমন্বয়ক হলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নাহিদ ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের হাসনাত আবদুল্লাহ, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সার্জিস আলম ও ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের আসিফ মাহমুদ। তাদের মধ্যে আসিফ মাহমুদ ছাড়া বাকি তিনজনই ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আর আসিফ ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের।
অন্যতম এই চার সমন্বয়কের সঙ্গে আরও রয়েছেন-মো. মাহিন সরকার, আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার, আব্দুল হান্নান মাসুদ, আদনান আবির, জামান মৃধা, মোহাম্মদ সোহাগ মিয়া, নুসরাত তাবাসসুম (শামসুন্নাহার হল, ঢাবি), রাফিয়া রেহনুমা হৃদি (বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল, ঢাবি), মুমতাহীনা মাহজাবিন মোহনা (বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা হল, ঢাবি), আনিকা তাহসিনা (রোকেয়া হল, ঢাবি), উমামা ফাতেমা (সুফিয়া কামাল হল, ঢাবি), আলিফ হোসাইন, কাউসার মিয়া, আরিফ সোহেল (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়), রাসেল আহমেদ (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়), আসাদুল্লাহ আল গালিব (শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), মো. তৌহিদ আহমেদ আশিক (শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) ও সাবিনা ইয়াসমিন (ইডেন মহিলা কলেজ)।
সহ-সমন্বয়ক হিসাবে আছেন-রিফাত রশিদ, হাসিব আল ইসলাম, আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, নিশিতা জামান নিহা, রেজোয়ান রিফাত, মেহেদী হাসান, মো. আবু সাঈদ, নুমান আহমাদ চৌধুরী, রিজভি আলম, সানজানা আফিফা অদিতি, ফাহিম শাহরিয়ার, গোলাম রাব্বি, কুররাতুল আন কানিজ, মিনহাজ ফাহিম, মো. মহিউদ্দিন, মেহেদী হাসান মুন্না, সরদার নাদিম সরকার শুভ, রিদুয়ান আহমেদ, নুরুল ইসলাম নাহিদ, রাইয়ান ফেরদৌস, সাব্বির উদ্দিন রিয়ন, হামজা মাহবুব, এবি যুবায়ের, তানজিলা তামিম হাফসা, বায়েজিদ হাসান, মো. শাহেদ, মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, দিলরুবা আক্তার পলি, ঈশী সরকার, ফাতিহা শারমিন এনি, সামিয়া আক্তার, মাইশা মালিহা, সাদিয়া হাসান লিজা, তারেক আদনান, আফজালুল হক রাকিব (ঢাকা কলেজ), মো. মেহেদী হাসান (কবি নজরুল সরকারি কলেজ), মো. সুজন মিয়া (সরকারি তিতুমীর কলেজ), ইব্রাহিম নিরব (বোরহানউদ্দিন কলেজ), আতিক মুন্সি (নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি), এসএম সুইট (ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়), খান তালাত মাহমুদ রাফি (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) এবং সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি (বিএল কলেজ, খুলনা)।
কোটা আন্দোলনের ৪২ জন সহ-সমন্বয়কদের বেশিরভাগই কে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মেসেঞ্জার/দিশা