ছবিঃ মেসেঞ্জার
দীর্ঘ ২০ বছর পর বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে মাইকে আজান দেওয়া হয়।
মাইকে আজান দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড দিয়ে এক ব্যক্তি ক্যাপশনে লিখেন, ঘুমের সমস্যা হতো বলে ১৫ বছর আগে মাইকে আজান দেওয়া বন্ধ করে দেন ছাত্রলীগ নেতারা। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এ বিষয়টি।
তবে, এ দাবিটি সত্যি নয় বলে জানিয়েছেন এস এম হল কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে হল মসজিদের সিনিয়র ইমাম ও খতিব মাওলানা আবুল কালাম আজাদ নাঈম জানান, ছাত্রলীগের বাধায় আজান বন্ধ থাকার দাবিটি সত্য নয়।
আবুল কালাম আজাদ নাঈম আরও বলেন, ‘এসএম হল মসজিদে আমি ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে ইমামতি করছি। ২০০২ সালের তৎকালীন একজন হাউজ টিউটরের উদ্যোগে মাইক লাগানো হয়েছিল। কিছুদিন সেটা চলমান থাকলেও মুয়াজ্জিন না থাকায় আমার একার পক্ষে সবকিছু পরিচালনা করাও কঠিন ছিল। এজন্য শিক্ষার্থীরাই অধিকাংশ সময় আজান দিতো।’
তিনি যুক্ত করেন, ‘কিছুদিন পরে মাইক নষ্ট হলে সেটা ঠিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এরপর থেকে এতবছর ছোট সাউন্ড বক্সেই আজান দেওয়া হয়। কিছুদিন আগে শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে অন্যান্য কাজের সঙ্গে মাইকের ব্যবস্থা করে হল প্রশাসন।’
ছাত্রলীগের বাধায় মাইকে আজান বন্ধ থাকার বিষয়ে আবুল কালাম আজাদ নাঈম বলেন, ‘না, এটা সত্য নয়। ছাত্রলীগের নেতারা আজান দেওয়া নিয়ে আমাদের ওপর কখনো হস্তক্ষেপ করেনি। মানুষ না জেনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’
মেসেঞ্জার/নকীব/সৌরভ