ঢাকা,  মঙ্গলবার
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

সেরা সুন্দরী হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বধির নারী

মেসেঞ্জার বিনোদন

প্রকাশিত: ২১:৪০, ১১ আগস্ট ২০২৪

সেরা সুন্দরী হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বধির নারী

ছবি: সংগৃহীত

মিস সাউথ আফ্রিকার মুকুট জয় করে নিয়েছেন মিয়া লে রউক্স নামে এক বধির নারী। তবে দেশটির এবারের সুন্দরী প্রতিযোগিতা নিয়ে বেশ বিতর্কও রয়েছে। কারণ নাইজেরিয়ান ঐতিহ্য নিয়ে ট্রোল করায় প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন একজন ফাইনালিস্ট। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেরা সুন্দরীর মুকুট মাথায় দিয়ে লে রউক্স নিজের বিজয়কে নিজের মতোই এই বুনো স্বপ্ন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া বা ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করার বিষয়েও তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। 

২৮ বছর বয়সী লে রউক্স মাত্র এক বছর বয়সেই শ্রবণশক্তি হারিয়েছিলেন। এর ফলে শব্দ বুঝতে সাহায্য করার জন্য তাঁর শরীরে একটি কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট করা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, কথা বলতে সক্ষম হওয়ার আগে অন্তত দুই বছর তাঁকে স্পিচ থেরাপি নিতে হয়েছিল। 

বিজয়ের পর মডেল এবং মার্কেটিং ম্যানেজার লে রউক্স বলেন, ‘আমি একজন গর্বিত দক্ষিণ আফ্রিকান বধির নারী। আমি এখন জানি, আমাকে সীমানা ভাঙার জন্য এই গ্রহে রাখা হয়েছিল এবং আমি আজ রাতে এটি করেছি।’
 
এর আগের সপ্তাহে এই প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন ২৩ বছর বয়সী আইনের ছাত্রী চিদিম্মা আদেতশিনা। কারণ অনেকেই বলাবলি করছিলেন, তাঁর মা একজন দক্ষিণ আফ্রিকান নারীর পরিচয় চুরি করেছেন। 

জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া আদেতনিশার বাবা একজন নাইজেরিয়ান এবং তাঁর মা মোজাম্বিকান বংশোদ্ভূত। এই কারণে কয়েক সপ্তাহ ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কের কেন্দ্রে ছিলেন তিনি। সাধারণ অসংখ্য মানুষের পাশাপাশি একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীও দেশের হয়ে আদেতনিশার প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। 

এমন প্রেক্ষাপটে আদেতনিশা দাবি করেছিলেন, তিনি ‘ব্ল্যাক-অন-ব্ল্যাক ঘৃণার’ শিকার হয়েছেন। এ ধরনের ঘৃণাত্মক মনোভবকে দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘আফ্রোফোবিয়া’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এর মাধ্যমে দেশটিতে মূলত অন্যান্য আফ্রিকান দেশগুলোর বংশোদ্ভূত প্রজন্মকে নির্দেশ করা হয়।

মেসেঞ্জার/তারেক

×
Nagad