ঢাকা,  শনিবার
২৭ জুলাই ২০২৪

The Daily Messenger

মালয়েশিয়ায় স্থায়ী শহীদ মিনার ও বাংলা স্কুল স্থাপনের দাবী

মালয়েশিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:৪৪, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মালয়েশিয়ায় স্থায়ী শহীদ মিনার ও বাংলা স্কুল স্থাপনের দাবী

ছবি : মেসেঞ্জার

মালয়েশিয়ায় স্থায়ী শহীদ মিনার বাংলা স্কুল স্থাপনের দাবী বহুদিনের। তবে এবার কমিউনিটি নেতা, ব্যবসায়ী, ছাত্র ছাত্রী, সাংবাদিক সহ সকল শ্রেণী পেশার প্রবাসীরা একসাথে দাবি জানিয়েছেন স্থায়ী শহীদ মিনার বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠার। শহীদ দিবস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রেসক্লাব আয়োজিত আলোচনা সভায় দাবী জানান বক্তারা।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানী কুয়ালালামপুরের বুকিত বিন্তাং এর একটি রেস্টুরেন্ট সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা ইমরান রাজুর সভাপতিত্বে যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম হিরণের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সিআইপি অহিদুর রহমান অহিদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কমিউনিটি নেতা, রাজনীতিবিদ ব্যবসায়ী রাসেদ বাদল, তরুণ কমিউনিটি নেতা রিসাদ বিন আব্দুল্লাহ হৃদয় বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন মালয়েশিয়ার সভাপতি শাহ আহমেদ রেজা।

সময় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি রফিক আহমেদ খান, কায়সার হামিদ হান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক বাপ্পী কুমার দাস, প্রচার সম্পাদক শওকত হোসেন জনি, সাংবাদিক শেখ আরিফুজ্জামান, ডিবিসি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

এসময় বক্তারা আক্ষেপ করে বলেন, প্রায় ১৫ লক্ষের কাছাকাছি প্রবাসী বাংলাদেশীদের বসবাস মালয়েশিয়ায়। পরিবার নিয়ে বসবাস করেন এমন পরিবারের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। অথচ বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু মালয়েশিয়ার মাটিতে নেই বাংলাদেশীদের জন্য কোন স্থায়ী শহীদ মিনার, বাচ্চাদের বাংলা স্কুল কিংবা বাংলাদেশী কোন মসজিদ!

যার কারণে বর্তমান প্রজন্ম এখানে তাদের ভাষা সংস্কৃতি সম্পর্কে তেমন বিশেষ কিছু জানতেও শিখতে পারছে না। তাই মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতবাসের মাধ্যমে সরকারের কাছে আমাদের দাবী মালয়েশিয়ায় আমাদের স্থায়ী শহীদ মিনার, বাংলা স্কুল এবং বাংলাদেশী মসজিদ নির্মাণ করা একহ্ন সময়ের দাবী।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ব্যবসায়ী জহির উদ্দিন বাদশা, আলী আজগর, শিক্ষার্থী সাদী, মোহাম্মদ আরিজ উলফী মিথুনসহ মালয়েশিয়া বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যায়নরত অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।

আলোচনা সভার শুরুতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

মেসেঞ্জার/বাপ্পি/আপেল