
ছবি : মেসেঞ্জার
পারমানিক বোমার ধ্বংসযজ্ঞের স্মৃতি বয়ে বেড়ানো জাপানের নাগাসাকিতে স্মৃতিস্তম্ভ বানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (২৮ মে) নাগাসাকি শহরের পিস পার্কে এই স্মৃতিস্তম্ভের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
উদ্বোধনীতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নবীরুল ইসলাম এবং নাগাসাকির মেয়র শিরো সুজুকি।
স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধনীতে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতার জন্য নাগাসাকির মেয়রসহ প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত বাংলাদেশ ও জাপানের সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
১৯৪৫ সালের ৯ আগস্ট নাগাসাকি শহরে নিয়ক্লীয় বোমা ‘ফ্যাট মান’ ফেলে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী। ওইদিন বেলা ১১টা ২ মিনিটে নাগাসাকি শহরের ক্যাথলিক গির্জার ঠিক ওপরেই বোমাটি। তাতে ৭৪ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিকের প্রাণ
হারান।
এর তিন দিন আগে ৬ আগস্ট হিরোশিমা শহরে আরেক নিউক্লীয় বোমা ‘লিটল বয়’ নিক্ষেপ করে মিত্রবাহিনী। তাতে প্রাণ যায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষের। এই দুই বোমার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরও সোয়া ২ লাখ মানুষ।
নাগাসাকিতে বোমা পড়ার সময়ের সাথে মিল রেখে স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধনের আগে বোমায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন শেষে গণপূর্ত মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের কেন্দ্রস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
মন্ত্রী শান্তি-স্মৃতি (পিস মেমেরিয়াল) জাদুঘর পরিদর্শন করেন। সেখানে রক্ষিত দর্শনার্থী বই-এ মন্তব্য লেখেন তিনি। দুপুরে নাগাসাকির মেয়র সুজুকির আয়োজনে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন বাংলাদেশ প্রতিনিধিরা।
জাপান দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, পারমাণবিক বোমামুক্ত, শান্তিপূর্ণ বিশ্বের অন্বেষণে জাপানের জনগণকে ও বিশ্বে শান্তির ও সংস্কৃতির বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই বার্তা পৌঁছে দেয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার নাগাসাকি পিস পার্কে শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের প্রস্তাব দেয়। স্থপতি অনিন্দ্য পন্ডিতের নকশায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে ৩ মিটার উচু কালো গ্রানাইট ও সাদা মার্বেল পাথরে নির্মিত এ স্মৃতিস্তম্ভ।
মেসেঞ্জার/তারেক