ছবি : মেসেঞ্জার
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের অদূরে কোটা ভরু ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের (জিআইএম) সদস্যদের একটি দল। বুধবার (২১ অগাস্ট) কুয়ালা ক্রাইয়ের স্টাপনোল বাতু জং ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের কাছে একটি লোহার কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশি সহ ১১৪ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে।
জিআইএম এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের পরিচালক বসরি ওথমান বলেন জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে চীন (৭০), বাংলাদেশের (২৮), থাইল্যান্ড (১), পাকিস্তান (২), মিয়ানমার (১১) এবং ইন্দোনেশিয়ার (২) নাগরিক রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ও স্থানীয় নাগরিকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুই সপ্তাহ ধরে প্লান করে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
কেলান্তান স্টেট ইমিগ্রেশন কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "বিভিন্ন পদমর্যাদার মোট ৬৯ জন কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি অপারেশনাল দল সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে।
গ্রেপ্তারকৃত ১১৪ জনের মধ্যে ৯৮ জন পুরুষ এবং বাকি ১৬ জন নারি যাদের বয়স যথাক্রমে ২৪ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।
তিনি বলেন, পাহাড়ের কাছে একটি এলাকায় অবস্থিত কারখানাটি জনপদ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং তারা যাতে পালাতে না পারে সে জন্য ফ্যাক্টরীটি চারি দিক থেকে ঘিরে ফেলে।
তদন্তে আরও দেখা গেছে, যে বিদেশি শ্রমিকরা কারখানা এলাকা এবং পাহাড়ি বনের আশেপাশের এলাকায় বসতবাড়ি গড়ে তুলেছে। এতে অভিযানের সময় তাদের পালানো সহজ হয়।
"প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে যে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা ১৫(১) (সি), ধারা ৬(১) (সি) এবং ১৯৫৯/৬৩ ইমিগ্রেশন অ্যাক্টের ৩৯(বি) ধারা অনুযায়ী অপরাধ করেছে যেমন অতিরিক্ত অবস্থান করা, বৈধ নথি না থাকা এবং ট্যুর পাসের অপব্যবহার করা।
"তদন্তে একজন ৫০ বছর বয়সি ব্যক্তিকেও জড়িত করা হয়েছে যিনি নিয়োগ কর্তা এবং অভিবাসীদের সুরক্ষার জন্য ধারা ৫৬(১) (ডি) এবং অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ করার জন্য ৫৫ সি ধারার অধীনে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
মেসেঞ্জার/বাপ্পী/আপেল