ছবি : মেসেঞ্জার
৪ এবং ৫ সেপ্টেম্বর পুত্রজায়া ও পুচং এর আশেপাশে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দেশটির ইমিগ্রেশন। কুয়ালালামপুরে কেলানা জয়া এবং এসজি বেসি এলেকায় অপারেশন শুরু হয় বিকাল ৩.০০ টার দিকে। এ সময় প্রশাসনের বিভিন্ন সেক্টরের একটি দলের সমন্নয়ে অভিযান পরিচালনা করে। ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অপারেশনস, ইমিগ্রেশন হেডকোয়ার্টার পুত্রজায়া।
জানা যায় দুই সপ্তাহ ধরে চালানো গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, অপারেশন করা হয়। এই সিন্টিকের মূল মাস্টারমাইন্ড তিন জন স্থানীয় নাগরিক। তিন জনের মধ্যে দুই জন পুরুষ একজন নারী। এছাড়াও আটক করা হয়েছে একজন ভিয়েতনামী এবং একজন ভারতীয় নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিন্ডিকেটের সদস্য, দুই মহিলা ভিয়েতনামী নাগরিক এবং একজন মহিলা শ্রীলঙ্কার নাগরিক। আটককৃত ৮ জনের বয়স যথাক্রমে ২২ থেকে ৪২ বছরের মধ্যে।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে যে একজন ভিয়েতনামী পুরুষের বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা ছিল, দুই ভিয়েতনামী মহিলা এবং একজন শ্রীলঙ্কান মহিলা অতিরিক্ত অবস্থান করেছিলেন। যদিও অন্যান্য বিদেশী নাগরিকদের এই দেশে থাকার জন্য কোনো বৈধ ভ্রমণ নথি বা পাসপোর্ট পাওয়া যায়নি।
অপারেশন টিম বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের মোট ২০৯ কপি এর মধ্যে ভারতী পাসপোর্ট সব থেকে বেশি ১৩১ কপি, শ্রীলঙ্কার ২২ কপি, বাংলাদেশি পাসপোর্টের ১৮ কপি, ইন্দোনেশিয়ার ১০ কপি পাসপোর্ট, ১০ কপি ভিয়েতনামি পাসপোর্ট, ৪ কপিসহ বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট জব্দ করেছে। নেপালী পাসপোর্ট, পাকিস্তানী পাসপোর্টের ৬ কপি এবং মায়ানমার পাসপোর্টের ৪ কপি। অপারেশন টিম একটি প্রোটন এক্স৭০ গাড়ি, একটি প্রোটন এক্সোরা গাড়ি, একটি নিসান আলমেরার গাড়ি এবং একটি অডি গাড়িও জব্দ করেছে।
সিন্ডিকেটের মোডাস অপারেন্ডি হল ক্লাং উপত্যকার আশেপাশে বিদেশী নাগরিকদের টার্গেট করা পাসপোর্ট এবং পাসের সাথে সম্পর্কিত পরিষেবা যেমন সোশ্যাল ভিজিট পাস (পিএলএস), টেম্পোরারি ওয়ার্ক ভিজিট পাস (পিকেএলএস), প্রফেশনাল ভিজিট পাস (পিআইকেএল)। আটককৃতদের সকলের পরবর্তী আইনী কার্যক্রমের জন্য বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়।
মেসেঞ্জার/তারেক