ছবি : সংগৃহীত
তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এথিক্স কমিটির সুপারিশের পর শুক্রবার তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। এদিন মহুয়ার এমপি পদ খারিজ করে দেওয়ার পর লোকসভায় মহুয়াকে তার নিজের বক্তব্য পেশ করারও সুযোগ দেওয়া হয়নি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে তাকে এমপি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এর আগে লোকসভার এথিক্স কমিটিতেও তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই মেয়াদের এই সংসদ সদস্য।
প্রায় ৫০০ পৃষ্ঠার রিপোর্টে মহুয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করতে সরকারকেও সুপারিশ করা হয়। এথিকস কমিটির ওই সুপারিশ গত ১০ নভেম্বর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে পেশ করা হয়। স্পিকার এ বিষয়ে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রস্তাব পাশ করান লোকসভায়। এরপর আজ তার সংসদ সদস্য পদ খারিজ করা হয়।
এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মহুয়া মৈত্র লড়াই চালিয়ে যাওয়ার হুংকার দেন। তিনি বলেন, বিজেপি রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে আর সে কারণেই ভয় পেয়ে লোকসভা থেকে তাকে কৌশলে সরানো হয়েছে।
সংসদের অভ্যন্তরে প্রশ্ন না তুললেও বাইরে একইরকমভাবে গণমাধ্যমের সামনে বিজেপি সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলবেন বলেও হুমকি দেন মহুয়া মৈত্র।
নিজ দলের সংসদ সদস্যকে বহিষ্কারের পরই উত্তরবঙ্গে সফররত তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে। কোনোভাবেই তৃণমূলকে ভয় দেখানো যাবে না। দলীয় সাংসদ মহুয়া মৈত্রের পাশে থাকার কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, শুক্রবার বহিষ্কার করার আগে তৃণমূল সংসদ সদস্যকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি। মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের যে সুপারিশ করেছিল লোকসভার এথিক্স কমিটি সেই সুপারিশটি জমা দেয়ার ক্ষেত্রে কিছুদিন সময় চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল। কিন্তু কোনোভাবেই অভিযুক্ত সংসদ সদস্য মহুয়া বৈঠকে সুযোগ দেয়া হয়নি।
মহুয়া মিত্র যখন লোকসভার বাইরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন সেখানে কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীসহ শীর্ষ তৃণমূল নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
মেসেঞ্জার/ফারদিন