ছবি : সংগৃহীত
৫ নভেম্বর আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ইসরায়েলে প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরান। এমন আবহে ইসরায়েলি মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বলছে, কোনো অবস্থাতেই নতুন করে হামলা চালানো উচিত হবে না ইরানের। আর যদি ইরান হামলা চালায়, সেক্ষেত্রে ইসরায়েলের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জিন-পিয়েরে বলেছেন, ইসরায়েলের হামলায় ইরানের প্রতিশোধের জবাব দেওয়া উচিত হবে না, তবে যদি তা করে তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে সমর্থন করবে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে মার্কিন মুখপাত্র বলেন, ইসরায়েলের প্রতিশোধের জবাব দেওয়া উচিত নয় ইরানের। এটা তাদের উচিত নয়... যদি তারা তা করে, আমরা ইসরায়েলিদের আত্মরক্ষায় তেল আবিবকে সমর্থন করব।
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই ইসরায়েলে হামলার ছক কষছে ইরান। তেহরানের বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে এটি নিশ্চিত করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান তার ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আক্রমণের একটি ‘সুনির্দিষ্ট এবং শোচনীয়’ প্রতিক্রিয়া দেবে। সম্ভবত ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই হামলা হতে পারে।
এর আগে ১ অক্টোবর ইসরাইলকে লক্ষ্য করে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইরান। হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নীলফরৌশনের হত্যাকাণ্ডের প্রত্যুত্তরে ইসরাইলে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছিল তেহরান। তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের অধিকাংশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ভূপাতিত করার দাবি করে ইসরাইল।
আর ১ অক্টোবরের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ২৬ অক্টোবর শনিবার রাতে ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় চার সেনা নিহত এবং ‘সীমিত ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে দাবি করে ইরান। তবে হামলায় নিজেদের ‘সব লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে’ বলে সফলতার দাবি করেন নেতানিয়াহু।
একইদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, তিনি আশা করেন ইরানে আর হামলা চালাবে না ইসরায়েল। এখানে থেমে যাবে প্রতিক্রিয়া। যদিও ইরান পুনরায় বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
মেসেঞ্জার/দিশা